West Bengal Assembly: আলোচনার মাঝেই মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয় বিজেপি মহিলা বিধায়কের! প্রতিবাদে ওয়াক আউট, তপ্ত বিধানসভা
West Bengal Assembly: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে শঙ্কর বলেন, "আসলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরই বলেছিলেন, বিরোধীদের মুখে সেলোটেপ মেরে দিতে। এদিন স্পিকার সেটাই করেছেন। এটা তো মুখ্যমন্ত্রীর আচরণেরই ভাষ্য।"
কলকাতা: বিক্ষোভে উত্তাল বিধানসভা। ওয়াকআউট করল বিজেপি। বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডলের মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ। নারী নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ওয়াক আউট করে বিজেপি। এই মুহূর্তে বিধানসভার বাইরে এসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি বিধায়করা।
বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “আরজি করের ঘটনার পরেও আমাদের রাজ্যে নারী ও শিশুদের ওপর নির্যাতন চলছেই। শারীরিক অত্যাচার ও খুন ক্রমবর্ধমান। এর বিরুদ্ধে আমাদের মহিলা বিধায়করা এদিন বিধানসভায় একটি মুলতুবি প্রস্তাব জমা করেন। এই মুলতুবি প্রস্তাবের ভাষ্যে এডিটেড পার্ট তাঁদেরকে পড়তে দেওয়া হয়। কিন্তু আলোচনার সুযোগ রাখা হয় না। আমাদের বিধায়ক তাপসী মণ্ডল, শিখা চট্টোপাধ্যায়, মালতি রাভা, চন্দনা বাউড়ি সবাই মিলে যখন প্রতিবাদ করেন, তখন তাপসী মণ্ডলের মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়।” তাঁর বক্তব্য, “আসলে তাপসী মণ্ডলের যে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সেটা আসলে পশ্চিমবঙ্গের অসংখ্য মহিলা ও শিশুদের কথা বলার মাইক ছিল। তাঁদেরই কন্ঠরুদ্ধ করা হয়েছে।” তাঁর কথায়, স্পিকারের এই আচরণের প্রতিবাদ করতেই তাঁরা ওয়াক আউট করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে শঙ্কর বলেন, “আসলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরই বলেছিলেন, বিরোধীদের মুখে সেলোটেপ মেরে দিতে। এদিন স্পিকার সেটাই করেছেন। এটা তো মুখ্যমন্ত্রীর আচরণেরই ভাষ্য।”
যদিও বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে এডিটেড ভার্সনই পড়তে হবে, সেটাই নিয়ম। কিন্তু তাপসী মণ্ডল তার বাইরের অংশ পাঠ করছিলেন বলে সেটা রেকর্ড না করার নির্দেশ দেন তিনি। তাও তাপসী মণ্ডল বলতে থাকলে মাইক বন্ধের নির্দেশ দেন স্পিকার।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই বাংলাদেশে চিন্ময়কৃষ্ণ দাস গ্রেফতারির আঁচ পড়ে বিধানসভায়। প্রতিবাদে সোচ্চার হয় বিজেপি। বিধানসভার বাইরে মিছিলও করেন বিজেপি বিধায়করা। আগামী দিনে কলকাতায় রাস্তায় নামার কর্মসূচিও ঘোষণা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।