West Bengal Assembly: মুকুল, কৃষ্ণ কল্যাণীদের বিরুদ্ধে কেন কড়া পদক্ষেপ নয়? খোলসা করলেন স্পিকার
Turncoat Politics: স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “যতগুলি পিটিশন পেন্ডিং রয়েছে, (যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ) তাঁদের কেউ পজিটিভলি বলেননি তিনি দলত্যাগ করেছেন। তাঁরা সবাই বলছেন, তাঁরা দলেই রয়েছেন। তবে সরকারি কাজকর্মের সুবিধা পাওয়ার জন্য তাঁদের অনেক সময় রাজ্য সরকারের সাহায্য চাইতে হয়।"
কলকাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। পরে দু’জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন। বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে ধূপগুড়ি হাতছাড়া হয়। এছাড়াও একুশের বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে একাধিক বিজেপির টিকিটে জেতা বিধায়কের তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ দেখা গিয়েছে। কিন্তু খাতায় কলমে তাঁরা এখনও বিজেপিরই বিধায়ক। বিজেপির তরফে একাধিক সময়ে দলবদলের অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে বিধানসভার খাতায় কলমে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা এখনও ৭৪।
মুকুল রায়, বিশ্বজিৎ দাস, কৃষ্ণ কল্যাণী, তন্ময় ঘোষ-সহ মোট সাতজনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। যদিও এখনও পর্যন্ত বিধানসভায় অভিযোগ জমা পড়েছে ছয় জনের বিরুদ্ধেই। কেন বার বার অভিযোগ ওঠার পরেও কোনও কড়া পদক্ষেপ করছে না বিধানসভা? প্রশ্ন করায় এবার স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বোঝানোর চেষ্টা করলেন, সংবাদমাধ্যমে কী দেখা যাচ্ছে, তার উপর ভিত্তি করে বিধানসভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।
স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “যতগুলি পিটিশন পেন্ডিং রয়েছে, (যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ) তাঁদের কেউ পজিটিভলি বলেননি তিনি দলত্যাগ করেছেন। তাঁরা সবাই বলছেন, তাঁরা দলেই রয়েছেন। তবে সরকারি কাজকর্মের সুবিধা পাওয়ার জন্য তাঁদের অনেক সময় রাজ্য সরকারের সাহায্য চাইতে হয়। এমন ঘটনা অনেক রয়েছে।”
বিধানসভার স্পিকারের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের সহযোগিতা চাইতে তাদের সভায় যাওয়া মানেই সেটা দলবিরোধী কাজকর্ম বলে গণ্য করা যায় না।
প্রসঙ্গত, এর আগে বার বার বিজেপি দাবি করেছে মুকুল রায়ের সাংসদ পদ খারিজের জন্য। সেই নিয়ে বিধানসভায় হয়ে জল গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত। দু’দফায় লম্বা শুনানির পর বিধানসভা জানিয়ে দিয়েছিল, মুকুল রায় বিজেপিতেই রয়েছেন।