Jiban Krishna Saha: জীবনকৃষ্ণের মোবাইল ফোন ছুড়ে ফেলা ‘সাজানো ঘটনা’, আদালতে বললেন আইনজীবী
CBI: এদিন আদালতে জীবনকৃষ্ণর আইনজীবী বলেন, ‘যদি হেফাজতে থাকাকালীন মোবাইল ফেলে দেওয়া হয় তাহলে সেটা সিবিআইয়ের গাফিলতি। তার জন্য কোনও অফিসারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
কলকাতা: যে মোবাইল ফোন এঁদো পুকুরে ফেলা নিয়ে এতো কাণ্ড চলল দু’দিন পার করে, এখন বলা হচ্ছে সেটা নাকি সাজানো ঘটনা! বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (MLA Jibankrishna Saha) বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির সময় জীবনের বাড়ির পুকুরে মোবাইল ফোন ছুড়ে ফেলা নিয়ে তোলপাড় হয়। পুকুর ছাঁচতে চলে দক্ষযজ্ঞ। অথচ বৃহস্পতিবার আদালতে দাঁড়িয়ে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী দাবি করলেন, এই ঘটনা পুরোপুরি সাজানো। এই দাবির পক্ষে বিপ্লবের যুক্তি, যে কোনও সার্চের ক্ষেত্রে ভিডিয়োগ্রাফি বাধ্যতামূলক। তা হয়নি। ডিজিটাল ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করার নিয়মও মানা হয়নি।
এদিন আদালতে জীবনকৃষ্ণর আইনজীবী বলেন, ‘যদি হেফাজতে থাকাকালীন মোবাইল ফেলে দেওয়া হয় তাহলে সেটা সিবিআইয়ের গাফিলতি। তার জন্য কোনও অফিসারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’ এদিন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা, প্রদীপ সিংহ, প্রসন্ন রায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য-সহ ৭ জনকে আলিপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। জীবনকৃষ্ণ সাহা-সহ ৬ জনকে ২৫ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। প্রসন্ন রায়ের ১৫ মে পর্যন্ত সিবিআই হেফাজত হয়। এদিন প্রসন্ন রায়কে গ্রুপ ডি মামলায় হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছে সিবিআই।
বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে গত এপ্রিল মাসে হানা দেয় সিবিআই। তদন্তকারীদের সামনেই জীবন তাঁর দু’টি মোবাইল বাড়ির পাঁচিল পার করে পুকুরে ফেলে দেন। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় পুকুর ছেঁচার কাজ। দীর্ঘ তল্লাশির পর উদ্ধার করা হয় সেগুলি। সিবিআইয়ের বক্তব্য ছিল, প্রমাণ লোপাট করতে ফোন দু’টি জলে ফেলে দেয়। মূলত ডিজিটাল এভিডেন্স নষ্ট করাই ছিল বিধায়কের লক্ষ্য।
যদিও প্রথমে আদালতে জীবনকৃষ্ণের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, বিধায়কের মেয়ে শিলিগুড়িতে পড়াশোনা করে। তিনি মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। সিবিআই তাতে রাজি না হওয়ায় রেগে গিয়ে তা ফেলে দেন। পরে আইনজীবী এই বক্তব্য থেকে সরে দাঁড়ান। বলেন, বিধায়ক জানিয়েছেন তিনি মোবাইল ফেলেননি। এদিনও সাজানো ঘটনা বলে দাবি করেন।