Panchayat Elections 2023: ভাঙড়ে শান্তি ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রী বললে প্রার্থী প্রত্যাহার করবে ISF, বললেন নওশাদ
Bengal Panchayat Election: ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপর্ব শুরু হতেই বিভিন্ন জেলা থেকে বিস্তর হিংসার অভিযোগ এসেছে। স্ক্রুটিনিপর্বেও নানা অভিযোগ। যাঁরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, তাঁদের কেউ কেউ বলছেন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য নানাভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে।
কলকাতা: ভাঙড়ে অশান্তি নিয়ে কৌশলী নওশাদ সিদ্দিকি। শান্তি ফেরাতে অভিনব বার্তা ভাঙড়ের বিধায়কের। মুখ্যমন্ত্রী বললে তাঁর দল প্রার্থী প্রত্যাহার করতেও প্রস্তুত বলে জানালেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফের (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁর কথায়, ভাঙড়ের শান্তি ফেরাতে তাঁর দল প্রার্থীপদও প্রত্যাহার করে নেবে। যে কোনও কিছুর বিনিময়ে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আর্জি ভাঙড়ের বিধায়কের (Naushad Siddiqui)। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপর্ব শুরু হতেই বিভিন্ন জেলা থেকে বিস্তর হিংসার অভিযোগ এসেছে। স্ক্রুটিনিপর্বেও নানা অভিযোগ। যাঁরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, তাঁদের কেউ কেউ বলছেন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য নানাভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল শাসকদলের দিকে। সবথেকে বেশি সন্ত্রাসের অভিযোগ এসেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় থেকে। সেখানে তৃণমূল ও আইএসএফের মধ্যে তুমুল গোলমালের অভিযোগ উঠেছে। যার রেশ এখনও জিইয়ে রয়েছে বলেই ভাঙড়বাসীর অভিযোগ। লোহা এখনও গরম, সামান্য ঘা পড়লেই ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা ভাঙড়ের মানুষের।
নওশাদ সিদ্দিকি সোমবার বলেন, “যদিও মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আমার সম্পর্কে বা আমাদের দল সম্পর্কে অনেক কিছুই বলছেন। তবে তিনি যদি সরাসরি বলেন, ভাঙড়ের স্বার্থে বা ভাঙড়ের শান্তির স্বার্থে আইএসএফের প্রার্থীদের তুলে নেওয়া দরকার, তা নিয়ে আমি আমাদের প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলব। মনোনয়ন প্রত্যাহারের ব্যাপারে তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করব প্রয়োজনে। ভাঙড়বাসীর স্বার্থে আমি এটা করতে তৈরি। মারামারি হানাহানির রাজনীতি করতে আমি রাজনীতির ময়দানে আসিনি।” নওশাদের কথায়, সামান্য মনোনয়নপর্ব। তাতেও মৃত্যু দেখল বাংলা। কোল খালি হল মায়ের। কেউ বাবাকে হারালেন, কেউ হারালেন স্বামীকে। তার জন্য তিনি ব্য়থিত বলেও এদিন মন্তব্য করেন।
যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “এই কথাটা উঠছে কেন, সেটাই তো বুঝতে পারছি না। মুখ্যমন্ত্রী কেন এরকম কথা বলবেন? এটা তো সঠিক রাজনৈতিক বক্তব্যও নয়। সবথেকে বড় কথা, যত পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে, এবার সর্বাধিক মনোনয়ন জমা পড়েছে, এটা নওশাদ সিদ্দিকির জানা উচিত। ২ লক্ষ ৩২ হাজার মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে। নওশাদের কথায় তো পরাজিতের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে।“