Bratya Basu: রাজ্যপাল যদি আচার্য বিলে সই না করেন, তাহলে?, স্পষ্ট করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু

Suvendu Adhikari: এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আচার্য বিল নিয়ে এক ইঞ্চিও আপোষ করা হবে না। তাঁর দাবি, রাজ্যের নাম ‘বঙ্গ’ করার প্রস্তাব বা বিধান পরিষদ তৈরির প্রস্তাব যেভাবে দিল্লিতে পড়ে রয়েছে, পাস হচ্ছে না, আচার্য বিলেরও সেই একই অবস্থা হবে।

Bratya Basu: রাজ্যপাল যদি আচার্য বিলে সই না করেন, তাহলে?, স্পষ্ট করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 13, 2022 | 11:36 PM

কলকাতা: এর আগে রাজ্যের মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আর রাজ্যপাল থাকবেন না। মুখ্যমন্ত্রী বসবেন সেই পদে। সোমবার বিধানসভার বাদল অধিবেশনে সেই বিল পাশ হয়ে গেল ১৮২-৪০ ভোটে। এবার সেই বিলে রাজ্যপালের সই হলেই নতুন নিয়ম বলবৎ হয়ে যাবে। কিন্তু এদিন সকালেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর রিটায়ারমেন্ট হয়ে যাবে, তবু তিনি আচার্য হতে পারবে না।’ এবার শুভেন্দুর বক্তব্যকে পাল্টা খোঁচা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ব্রাত্যর বক্তব্য, রাজ্যপালের প্রতিটি পদক্ষেপ যদি বিজেপি সদস্যদের অঙ্গুলিহেলনেই হয়, তা হলে রাজ্যপাল তাই করুন। এ এক্তিয়ার তো ওনার আছেই।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আচার্য বিল নিয়ে এক ইঞ্চিও আপোষ করা হবে না। তাঁর দাবি, রাজ্যের নাম ‘বঙ্গ’ করার প্রস্তাব বা বিধান পরিষদ তৈরির প্রস্তাব যেভাবে দিল্লিতে পড়ে রয়েছে, পাস হচ্ছে না, আচার্য বিলেরও সেই একই অবস্থা হবে। এরই পাল্টা ব্রাত্য বসু বলেন, “রাজ্যপাল কী কী করবেন বিজেপি সদস্যরাই বিধানসভায় বলে দিলেন। রাজ্যপাল কী কী করবেন এবং কী কী করতে পারেন, রাজ্যপালের কী কী করা উচিৎ এটা বিধানসভা অধিবেশন কক্ষে বিজেপির সদস্যরা প্রায় অধিকাংশই তাঁদের বক্তৃতায় বলে দিলেন। তাঁরা রাজ্যপালকে সবই বলে দিচ্ছেন। রাজ্যপাল যদি বিজেপি সদস্যদের কথা শুনে চলেন এবং তাই করবেন ভাবেন, করবেন। তাঁর এটা এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে।”

এই বিল কার্যকর হওয়া নিয়ে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে ব্রাত্য বলেন, “বিজেপি আত্মবিশ্বাসী এই বিল আসবে না। গুজরাট সরকার এই বিল এনেছে। তামিলনাড়ু সরকার, মহারাষ্ট্র সরকার এই বিল এনেছে। অথচ পুঞ্চি কমিশন স্পষ্ট করে বলছে, কোনও রাজ্যে রাজ্যপাল পাঠাতে গেলে সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে পাঠানো উচিৎ। বিজেপি সদস্যরাই যদি ঠিক করে দেন রাজ্যপাল কী করবেন, উনি যদি তাঁদের কথা শুনে চলতে চান, করবেন।”

এদিন সাংবাদিকরা জানতে চান, সত্যিই যদি এই বিলে রাজ্যপালের সই না হয়, তা হলে রাজ্য সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে? ব্রাত্য বসু বলেন, “আটকাবে কেন সেটাই তো বুঝতে পারছি না। আমরা নির্বাচিত সরকার। একটি রাজ্যের নির্বাচিত আইনসভায় সদস্যরা ভোটে জিতে সে বিল সম্মানীয় রাজ্যপালের কাছে পাঠাচ্ছেন। সম্মানীয় রাজ্যপাল সই করবেন না কেন? বিজেপি সদস্য বলছেন বলে উনি সই করবেন না? উনি তো আমারও রাজ্যপাল। উনি তো আমার সরকারেরও রাজ্যপাল। সরকার থেকে একটি বিল পাশ করে তাঁর কাছে পাঠানো হচ্ছে, তিনি নির্বাচিত সরকারের কথা শুনবেন না কেন?”

আটকাতে কেন সেটাই তো বুঝতে পারছি না। আমরা নির্বাচিত সরকার। একটি রাজ্যের নির্বাচিত আইনসভায় সদস্যরা ভোটে জিতে সে বিল সম্মানীয় রাজ্যপালের কাছে পাঠাচ্ছেন। সম্মানীয় রাজ্যপাল সই করবেন না কেন? বিজেপি সদ্যরা বলছেন বলে উনি সই করবেন না? উনি তো আমারও রাজ্যপাল। উনি তো আমার সরকারেরও রাজ্যপাল। সরকার থেকে একটি বিল পাশ করে তাঁর কাছে পাঠানো হচ্ছে, তিনি নির্বাচিত সরকারের কথা শুনবেন না কেন?”