বঙ্গে উপনির্বাচন কি সেপ্টেম্বরের মাঝেই? তেমনটাই চাইছে কমিশন, বলছে সূত্র

West Bengal Bypolls: অক্টোবরে পা রাখার আগেই ৫ কেন্দ্রের উপনির্বাচন এবং দুই কেন্দ্রের নির্বাচন সেরে ফেলা হতে পারে।

বঙ্গে উপনির্বাচন কি সেপ্টেম্বরের মাঝেই? তেমনটাই চাইছে কমিশন, বলছে সূত্র
ছবি- টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 22, 2021 | 11:20 PM

কলকাতা: রাজ্যের মোট পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন কি সেপ্টেম্বের মাঝেই? সম্প্রতি এমন জল্পনা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। কারণ আগামী ৩ অগস্ট থেকেই এই ৫ কেন্দ্রে এফএলসি (ফাস্ট লেভেল চেকিং) প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগের প্রক্রিয়া হিসেবে ধরা হয় এই প্রক্রিয়াকে। যার মাধ্যমে সমস্ত রাজনৈতিক দলের উপস্থিতিতে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট করা হয়। ৩ থেকে ৬ অগস্টের মধ্যে এফএলসি প্রক্রিয়া শেষ করতে বলা হয়েছে। ফলে ওয়াকবিবহাল মহলের মতে, অক্টোবরে পা রাখার আগেই ৫ কেন্দ্রের উপনির্বাচন এবং দুই কেন্দ্রের নির্বাচন সেরে ফেলা হতে পারে।

বাংলার করোনা পরিস্থিতি বর্তমানে মোটের উপর নিয়ন্ত্রণে। যদি রাতারাতি পরিস্থিতি বদল না হয়, তবে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে পাঁচ আসনে উপনির্বাচন এবং দুই আসনে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন সেরে ফেলতে চায় কমিশন। প্রাথমিকভাবে এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফৎ। যে কারণে এই পাঁচ কেন্দ্রে এফএলসি (ফাস্ট লেভেল চেকিং) প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হচ্ছে ৩ অগস্ট থেকে। ভবানীপুর বাদে দিনহাটা, খড়দহ, শান্তিপুর ও গোসাবা বিধানসভা কেন্দ্রে এফএলসি হবে। শামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে এফএলসি হবে না, কারণ সেই আসনগুলিতে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তা সেরে ফেলা হয়েছে।

নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে লড়তেও সামান্য ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেন তিনি। এক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেওয়ার ৬ মাসের মধ্যে তাঁকে উপনির্বাচনে জয়লাভ করতে হবে। অর্থাৎ, উপনির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য ৬ নভেম্বর পর্যন্ত সময় রয়েছে মমতার কাছে। কারণ ২ মে ভোটে জেতার পর গত ৬ মে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিয়েছিলেন মমতা। সেই কারণে তৃণমূল গত কয়েকদিন ধরেই উপনির্বাচনের দ্রুত আয়োজন করতে উদ্যোগী হয়েছে। গত সপ্তাহেও তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল এই নিয়ে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়।

বিজেপি যদিও কোনও ভাবেই এই সময়ে উপনির্বাচনের পক্ষপাতী নয়। বিরোধীদের দাবি, বর্তমানে করোনার পরিস্থিতির মধ্যে উপনির্বাচন করানো যাবে না। যদিও তেমনটা হলে এ রাজ্যে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে। তাই সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়েই পাঁচ আসনে উপনির্বাচন এবং দুই আসনে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচনের ঘোষণা করতে পারে কমিশন। সূত্রের খবর এমনটাই। আরও পড়ুন: একদিনে মৃত্যু বাড়ল দ্বিগুণেরও বেশি, সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও উদ্বেগে রাখছে একাধিক জেলা