Calcutta High Court: আঁধারে ডোবা রাস্তায় ধর্ষণ, রাজ্যের কোন কোন রাস্তায় আলো নেই দেখতে কমিটি গড়ল হাইকোর্ট
Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। রাজ্যে পরপর কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হয় এই জনস্বার্থ মামলা।
কলকাতা: এখনও বহু গ্রামে বিদ্যুতের আলো পৌঁছয়নি। আঁধারে ডোবা রাস্তাঘাট দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য বলে অভিযোগ ওঠে প্রায়শই। এরকমই এক অভিযোগকে সামনে রেখে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার শুনানিপর্বেই দৃষ্টান্তমূলক নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। প্রত্যন্ত গ্রাম-সহ রাজ্যের কোন কোন রাস্তায় বিদ্যুতের অভাব রয়েছে বা বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি তা খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের কমিটি গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট। জেলাভিত্তিক কমিটিতে রাখা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসক বা তাঁর কোনও প্রতিনিধি, জেলার পুলিশ সুপার বা তাঁর কোনও প্রতিনিধি, বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আঞ্চলিক ও জ়োনাল ম্যানেজার এবং আইনজীবী নীলাদ্রি সাহাকে। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে। আপাতত পুরুলিয়া জেলা থেকে এই সমীক্ষা শুরু হবে।
কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। রাজ্যে পরপর কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হয় এই জনস্বার্থ মামলা। মামলা করেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। মামলাকারীর বক্তব্য, এই ধর্ষণগুলির মধ্যে একটি ঘটেছিল অন্ধকার রাস্তায়। গ্রামের রাস্তায় আলো না থাকার কারণকে দায়ী করা হয়েছিল মামলকারীর তরফে। সেই মামলার শুনানি ছিল সোমবার। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা ওঠে।
আগেই এই জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে রাজ্যের কোথায় কোথায় বিদ্যুতের অভাব রয়েছে তা নিয়ে বিদ্যুৎ দফতর এবং বণ্টন সংস্থার কাছে হলফনামা চেয়েছিল হাইকোর্ট। সেখানে দেখা যায় রাজ্যের অনেক রাস্তায় এখনও আলো নেই। রাজ্য জানায়, অনেক জায়গায় বাতি লাগানোর কাজ চলছে। এরপরই আদালত জানতে চায়, রাজ্যের কোন কোন রাস্তায় বিদ্যুতের অভাব রয়েছে বা বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। আদালতের তৈরি করে দেওয়া কমিটি তা খতিয়ে দেখবে। আগামী দু’মাসের মধ্যে জেলার কমিটিকে রিপোর্ট দিতে হবে। সেই রিপোর্ট দেখে বাকি জেলাগুলিতে কমিটি তৈরি করে এই কাজ শুরু হবে। আগামী ৩০ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।