Anubrata Mondal: অনুব্রত-কন্যার বিরুদ্ধে মামলাকারীকে জরিমানা করব ভেবেছিলাম: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
Calcutta High Court: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, অনুব্রত মন্ডলের মেয়ের বিরুদ্ধে যিনি মামলা করেছিলেন তাকে জরিমানা ধার্য করব ভেবেছিলাম। কিন্তু কেন হঠাৎ এই মন্তব্য করলেন তিনি?
কলকাতা: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের বিরুদ্ধে করা মামলাটি না শুনেই নিষ্পত্তি করে দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। এতদিন পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ফের উঠে এল অনুব্রত-কন্যার প্রসঙ্গ। বিচারপতি বললেন, অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের বিরুদ্ধে যিনি মামলা করেছিলেন তাকে জরিমানা ধার্য করব ভেবেছিলাম। কিন্তু কেন হঠাৎ এই মন্তব্য করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়? হাইকোর্টে এদিন প্রাথমিকের একটি মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলায় দেখা যায় মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে ভুল তথ্য দিয়েছেন। আদালতকে বিভ্রান্ত করা হয়েছিল বলে মামলাকারীকে ২৫ হাজার টাকার জরিমানা করেন তিনি। ওই মামলার পুরুলিয়ার বড়বাজার থানার পুলিশকেও ডেকে তলব করেছিলেন বিচারপতি। জরিমানার ওই অর্থের থেকে ৫ হাজার টাকা বড়বাজার থানাকেও দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন ওই মামলার শুনানি চলাকালীন সুকন্যা মণ্ডলের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, “অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের বিরুদ্ধে যিনি মামলা করেছিলেন, তাঁকে জরিমানা করব ভেবেছিলাম। যেদিন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের মামলা দায়ের হয়, সেদিন চেম্বারে গিয়ে কাগজপত্র দেখে বুঝেছিলাম সম্পূর্ণ বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল আদালতকে। পরের দিন জরিমানা জারি করব ভেবেছিলাম।” বিচারপতির এই মন্তব্য ঘিরে ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের টেট সার্টিফিকেট নেই এবং তিনি স্কুলেও যান না – এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বেঞ্চে। কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে ব্যক্তিগতভাবে আদালতে হাজিরারও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। যদিও পরবর্তী সময়ে তিনি আবার সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। পরবর্তী শুনানির শুরুতেই নিজের নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন তিনি এবং মামলাটি না শুনেই নিষ্পত্তি করে দিয়েছিলেন। এরপর এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের এই মন্তব্য ঘিরে ফের চর্চা শুরু হয়েছে। সুকন্যা-মামলার সেই অভিজ্ঞতার কথা টেনে তাঁর মন্তব্য, “ভুল তথ্যের কারণে পুরুলিয়া থেকে ভোরবেলা উঠে পুলিশ অফিসারদের এখানে আসতে হয়েছে। এটা ঠিক নয়।”