Calcutta High Court: ‘শিক্ষক বদলি নীতি আরও বড় স্ক্যাম, ছাত্রদের জন্য কিছু সহানুভূতি রাখুন’, পর্যবেক্ষণ আদালতের

Teacher Transfer: বিচারপতি বলেন, "ছাত্রদের জন্য কিছু সহানুভূতি রাখুন। নিয়োগকর্তার ইচ্ছার উপর বদলি নির্ভর করে। বাকি সরকারি চাকরিতে বদলি একরকম শিক্ষকদের জন্য আলাদা কেন হবে?"

Calcutta High Court: 'শিক্ষক বদলি নীতি আরও বড় স্ক্যাম, ছাত্রদের জন্য কিছু সহানুভূতি রাখুন', পর্যবেক্ষণ আদালতের
কলকাতা হাইকোর্ট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 05, 2022 | 6:05 PM

কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের পর, এবার ফের প্রশ্নের মুখে শিক্ষকদের বদলির নীতি। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল। পুরুলিয়ার ঝালদা হাইস্কুলের (Jhalda High School) এক শিক্ষক বদলির মামলা ছিল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন শিক্ষক বদলি নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন, “বাকি সরকারি চাকরিতে বদলি একরকম, শিক্ষকদের জন্য আলাদা কেন হবে?”

বেশ কড়া ভাষায় এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, “বদলির পলিসি আরও বড় স্ক্যাম। এদের পদত্যাগ করা উচিত। পুরুলিয়ার বেশিরভাগ স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর থেকে শিক্ষকরা বদলি নিয়ে অধিকাংশ চলে যাচ্ছেন। ফলে সেখানে উচ্চ মাধ্যমিক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।” সেখানে ছাত্র ও শিক্ষকদের অনুপাত কী, সেই বিষয়েও জেলার স্কুল পর্যবেক্ষকের থেকে জানতে চান বিচারপতি। তাঁর পরামর্শ, “ছাত্রদের জন্য কিছু সহানুভূতি রাখুন। নিয়োগকর্তার ইচ্ছার উপর বদলি নির্ভর করে। বাকি সরকারি চাকরিতে বদলি একরকম শিক্ষকদের জন্য আলাদা কেন হবে? শিক্ষক বদলিতেও কি ‘দুর্নীতি’ হচ্ছে?”

প্রসঙ্গত, এই মামলার শুনানিতে সোমবার জেলার স্কুল পরিদর্শককে ডেকে পাঠানো হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতে স্কুল পরিদর্শকও স্বীকার করে নেন, বদলির জন্য স্কুলগুলির সমস্যার কথা। বলেন, “বদলির কারণে গোটা জেলার সব স্কুলের অবস্থাই খুব খারাপ। ঝালদা স্কুলে ২১ জন শিক্ষক ছিলেন, ইতিমধ্যেই ৮ জন বদলি নিয়ে চলে গিয়েছেন।” আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট পুরুলিয়া জেলার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের থেকে এই বদলি সংক্রান্ত রিপোর্ট জানতে চেয়েছে। ২০ জানুয়ারি এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ঘরেও শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত অন্য একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাও একবার একটি মামলায় মন্তব্য করেছিলেন, “শুধু শিক্ষকদের কথাই ভাবব, আর পড়ুয়াদের কথা ভাবব না… এটা করলে চলবে না।” প্রসঙ্গত, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও অতীতে শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও পরবর্তী সময়ে ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে দিয়েছিল।