Offline Exam CU: পরীক্ষা কোন মোডে হবে তার সিদ্ধান্ত ছাত্ররা নিতে পারেন না, স্পষ্ট জানাল হাইকোর্ট
Calcutta University: সিলেবাস শেষ করার প্রসঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় একটা ঐতিহ্যশালী প্রতিষ্ঠান। তারা নিজেদের সম্পর্কে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী।
কলকাতা: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা অফলাইনেই হবে। ছাত্রদের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন আদালত স্পষ্ট জানায়, কোন মোডে পরীক্ষা নেওয়া হবে, তার সিদ্ধান্ত কখনওই ছাত্ররা নিতে পারেন না। সেই অধিকার ছাত্রদের নেই। সিলেবাস শেষ হয়নি, সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়। আর পরীক্ষা কোন মোডে হবে, তাও সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয়ই। এর আগেও যখন সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা হয়েছিল, সে সময়ও আদালত জানিয়েছিল পরীক্ষা হবে অফলাইনেই। এরপর ফের ডিভিশন বেঞ্চে যান মামলাকারীরা। এদিনও সেই রায়ই বহাল রইল।
এদিন ডিভিশন বেঞ্চে মামলাকারীদের তরফে সময়মতো সিলেবাস শেষ না করার বিষয় তুলে ধরা হয়। মামলাকারীদের বক্তব্য ছিল, সময়মতো সিলেবাস শেষ করেনি কর্তৃপক্ষ। অথচ পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও এই যুক্তিতে মান্যতা দেয়নি আদালত। আদালতের বক্তব্য, পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়া হবে নাকি অফলাইনে, পরীক্ষার মোড নিয়ে সিদ্ধান্ত ছাত্ররা নিতে পারেন না। এটা একেবারেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়। আর পরীক্ষার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ যথেষ্টই ওয়াকিবহাল। তারা জানে সিলেবাসের নিরিখে কীভাবে প্রশ্নপত্র হবে।
অর্থাৎ এদিন দু’টি বিষয় খুব স্পষ্ট করে দেয় আদালত। প্রথমত, পরীক্ষার মোড ঠিক করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই। দ্বিতীয়, কীভাবে পরীক্ষা দেবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার মৌলিক অধিকার ছাত্রদের নেই। সিলেবাস শেষ করার প্রসঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় একটা ঐতিহ্যশালী প্রতিষ্ঠান। তারা নিজেদের সম্পর্কে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। কী পড়ানো হয়েছে, প্রশ্নপত্রে কী অগ্রাধিকার পাবে, তা তারা ভালই জানে। তাই তাদের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে ছাত্র ছাত্রীদের যা গ্রিভান্স থাকবে, যে সমস্ত অভিযোগ থাকবে, তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তাঁরা জানাতে পারবেন।
অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে পরপর ক’দিন পথে নামে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এরপরই মে মাসের শেষ সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন কলেজগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে সিংহভাগ অধ্যক্ষই অফলাইন পরীক্ষার পক্ষে রায় দিয়েছিলেন। এরপরই সিদ্ধান্ত হয়, ৩ জুন এই নিয়ে চূড়ান্ত বৈঠক হবে। সেদিন কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, পরীক্ষা হবে অফলাইনেই। প্রয়োজন হলে বিশেষ ক্লাস নেওয়া হবে। এরপরই আদালতে যান পড়ুয়ারা।