Recruitment Case: এবার মামলাকারীদের হয়ে পর্ষদের কাছে প্রাপ্ত নম্বর জানতে চাইল হাইকোর্ট

Calcutta High Court: মামলকারীদের বক্তব্য, গত সেপ্টেম্বরে পর্ষদ ফোন করে অফিসে যেতে বলে। সেখানে গেলে মার্কশিট, ওএমআর শিট তারা দেখায়নি।

Recruitment Case: এবার মামলাকারীদের হয়ে পর্ষদের কাছে প্রাপ্ত নম্বর জানতে চাইল হাইকোর্ট
ফের নিয়োগ অস্বস্তি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 03, 2022 | 10:56 PM

কলকাতা: এবার মামলকারীদের হয়ে পর্ষদের কাছে নম্বর জানতে চাইল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশ দেন ১০ দিনের মধ্যে পর্ষদকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে মামলকারীরা কত নম্বর পেয়েছেন। আদালত জানতে চায়, পর্ষদের প্রশ্ন ভুলের কারণে পরীক্ষার্থীদের কত নম্বর বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১৪ নভেম্বর ফের এই মামলার শুনানি হবে।

নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় নম্বর নিয়ে অসন্তুষ্ট পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও উপযুক্ত প্রমাণ-সহ নম্বর দেয়নি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মামলাকরীদের সাদা কাগজে নম্বর লিখে দেখানো হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষার আসল ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র দেখতে চেয়ে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ১১ জন পরীক্ষার্থী।

২০১৬ সালের এসএলএসটি-র (নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ) পরীক্ষায় ইতিহাসের দু’টি প্রশ্ন ভুল ছিল এই দাবিতে হাইকোর্টে মামলা করেন কয়েকজন পরীক্ষার্থী। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রশ্ন ভুলের কারণে অতিরিক্ত দু’ নম্বর মামলাকারীদের দেওয়ার নির্দেশ দেন। এমনকী তাঁদের উত্তরপত্র দেখাতে হবে এমন নির্দেশও দেন তিনি।

মামলকারীদের বক্তব্য, গত সেপ্টেম্বরে পর্ষদ ফোন করে অফিসে যেতে বলে। সেখানে গেলে মার্কশিট, ওএমআর শিট তারা দেখায়নি। শুধু সাদা কাগজে নম্বর লিখে তা পড়ে শোনায় পর্ষদ। পর্ষদের এই ভূমিকায় নম্বরে কারচুপির আশঙ্কা করে আবারও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মামলকারীরা। তাঁরা আবেদন করেছেন, ওএমআর শিটের আসল কপি দেখানো হোক। বৃহস্পতিবার মামলকারীদের আইনজীবীর কাছে এই বক্তব্য শোনার পরই নিজেই নম্বর জানতে চেয়ে পর্ষদকে নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

ইতিমধ্য়েই নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ উঠেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে। অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া, টাকার বিনিময়ে নিয়োগ, ভুয়ো প্যানেল তৈরি, পক্ষপাতিত্বর মতো একাধিক অভিযোগে যখন কার্যত ফালা ফালা কমিশন। সেই সময় আরও একটি মামলা সামনে আসে। এসএলএসটি নবম- দশম ও এসএলএসটি একাদশ- দ্বাদশের পরীক্ষা নিয়ে অভিযোগ ওঠে।

২০১৬ সালেই দু’টি পরীক্ষা হয়েছিল। অভিযোগ, দুই পরীক্ষাতেই ইতিহাসের প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল। নবম- দশমের ইতিহাসে ৬ নম্বর এবং ৪০ নম্বর প্রশ্ন ভুল বলে অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে একাদশ-দ্বাদশের ক্ষেত্রে ১১, ১২ ও ২৩ নম্বর প্রশ্ন নিয়ে অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হয়। প্রশ্নে ভুল স্বীকার করলেও এখনও আদালতের নির্দেশ মেনে যথাযথভাবে পরীক্ষার্থীদের নম্বর দেখানো হয়নি বলে অভিযোগ তুলে ফের আদালতে ১১ জন।