Mamata Banerjee on DA issue: ডিএ নিয়ে সাফ কথা মমতার
ডিএ আন্দোলনকারীদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতার প্রশ্ন, "যে সরকার এত মানবিক, আর কত করতে পারে?"
কলকাতা: রাজ্য সরকারের পে কমিশন (Pay Comission) অনুযায়ী রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মাইনে দেওয়া হয়। ষষ্ঠ পে কমিশনের হারে টাকা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার আলিপুর জাজেস কোর্টে ঋষি অরবিন্দ ঘোষের সার্ধশতবর্ষ জন্মবার্ষিকী পালনে এসে DA প্রসঙ্গে এমনই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একইসঙ্গে তাঁর বার্তা, “আমি অধিকার কাড়ার পক্ষে নই, অধিকার দেওয়ার পক্ষে। যেটা আইনি স্বীকৃত।”
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্রের হারে DA দেওয়া সম্ভব নয় বলেও এদিন সাফ জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তাঁর কথায়, “কাজ করবেন রাজ্য সরকারে, আর কেন্দ্রের হারে টাকা দিতে হবে, সেটা চলতে পারে না। রাজ্য রাজ্যের পে কমিশন অনুযায়ী চলে। আমরা ষষ্ঠ পে কমিশন অনুযায়ী টাকা দিয়েছি।”
কেন্দ্রের হারে কেন DA দেওয়া সম্ভব নয়, এদিন তারও ব্যাখ্যা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। দুই সরকারের কাঠামো আলাদা জানিয়ে তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার চলে রাজ্যের আর্থিক নীতি অনুযায়ী। রাজ্যের আর্থিক কাঠামো আলাদা। কেন্দ্রীয় সরকার চলে কেন্দ্রের নীতি অনুযায়ী। তাদের আর্থিক কাঠামো অনুযায়ী। কেন্দ্রের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আছে। রাজ্য সরকারের টাকা ছাপানোর ক্ষমতা নেই। আগে অনেকভাবে কর আদায় করতাম। এখন তো একটাই কর। GST। সেটা তুলে নিয়ে যাওয়ায় আমাদের অনেক লোকসান হচ্ছে। তা সত্ত্বেও আমরা মাসের ১ তারিখে বেতন দিই, পেনশন দিই। আমরা স্বাস্থ্যসাথী দিয়েছি, লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার চলছে, জয় জোহার চলছে, পেনশন ভাতা চলছে, বিনামূল্য রেশন দিই।” এপ্রসঙ্গে নাম না করে ডিএ আন্দোলনকারীদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতার প্রশ্ন, “যে সরকার এত মানবিক, আর কত করতে পারে?”
বাম আমলের ঋণ এখনও তাঁর সরকার পরিশোধ করে চলেছে এবং এর উপর কেন্দ্র GST কর তুলে নিয়ে যাচ্ছে, ১০০ দিনের কাজের টাকা এখনও বাকি বলেও তাঁর সরকারের আর্থিক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পাল্টা তোপ দেগেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “মানুষের হাতে টাকা দেওয়া প্রয়োজন। এটা অর্থিনীতিবিদ বলেন। ত্রিপুরা সরকার বছরে তিনটে সিলিন্ডার দিচ্ছে। উনিও দিন।”
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের মহার্ঘ ভাতা (DA)-র অনেক ফারাক রয়ে গিয়েছে। বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবিতে বর্তমানে আন্দোলনে নেমেছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। গত শুক্রবার ধর্মঘটেও সামিল হন আন্দোলনকারীরা। যদিও সেই আন্দোলন দমন করতে রাজ্য সরকারও কড়া পদক্ষেপ করে। যাঁরা শুক্রবারের ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন, তাঁদের চাকরি ব্রেক এবং একদিনের বেতন কাটা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।