Dengue: পুজোর মুখে বাড়ছে ডেঙ্গি, হাসপাতালে চিকিৎসাধীনের সংখ্যাও নেহাত কম নয়

Dengue: কলকাতার ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা চন্দ্রাণী গুহ বলেন, "আমাদের পাড়ায় এমন কোনও বাড়ি নেই, যেখানে ডেঙ্গি নেই। অনেককে হাসপাতালেও পাঠাতে হচ্ছে।"

Dengue: পুজোর মুখে বাড়ছে ডেঙ্গি, হাসপাতালে চিকিৎসাধীনের সংখ্যাও নেহাত কম নয়
ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 26, 2022 | 10:01 PM

কলকাতা: পুজোর মুখে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয় ধরাচ্ছে রাজ্যবাসীর। সোমবার নতুন করে ১২৯ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এখনও অবধি সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা ৫৪১। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪০ জন। মোট পরীক্ষা হয়েছে ৭ হাজার ৬৮২ জনের। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিংয়ে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভাবাচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনকে। পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে সোমবার ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজন বুঝে রক্ত পরীক্ষা করানোর কথাও বলেছেন।

কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে বাড়তে থাকা ডেঙ্গি সংক্রমণের হার ভয় ধরাচ্ছে। পুজোর মরসুমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘুম উড়েছে প্রশাসনের। গত দু’বছর হাত গুটিয়ে থাকার পর শক্তি বাড়িয়ে ফিরে এসেছে ডেঙ্গি। সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ক্রমেই। কলকাতা পুরনিগমের ২৪ টি ওয়ার্ড। পুরনিগম ও স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, চলতি বছরে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৫২৫ জন। শেষ এক সপ্তাহেই আক্রান্ত হয়েছে ৪৬৭ জন। দক্ষিণ কলকাতা ও সংযোজিত এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। ৬টি ওয়ার্ডের অবস্থা পুরনিগমের রিপোর্টেই ভাবনা ধরাচ্ছে। ১০৫, ১০৬, ১০৭,১০৯, ১১৫, ১২১।

১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা চন্দ্রাণী গুহ বলেন, “আমাদের পাড়ায় এমন কোনও বাড়ি নেই, যেখানে ডেঙ্গি নেই। অনেককে হাসপাতালেও পাঠাতে হচ্ছে।” আরেক বাসিন্দা দেবদত্তা চক্রবর্তী বলেন, “অনেকে ইতিমধ্যে মারাও গিয়েছেন। মানুষ যখন মারা গিয়েছেন তখন এসেছে প্রশাসন।” মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, “ডেঙ্গির পরিস্থিতি কিছুটা উদ্বেগজনক। আর্দ্রতা বেশি যেসব জায়গায়, সেখানে ডেঙ্গির প্রভাব খুবই বেশি। পুজো কমিটিগুলিকে বলা হয়েছে একটু পরিস্থিতি নজরে রাখুক, প্রচার করুক।”

পুজোয় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এদিনই অজেয় সংহতির পুজো উদ্বোধনে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কোভিড গেল তো ডেঙ্গি এল। ভাইরালও হচ্ছে, ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। কিন্তু একটু পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াই ভাল। ব্লাডটা কমে গেলে তা দিতে পারে। হাতের সামনে যখন চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে, তখন সেই চিকিৎসা নেওয়া উচিৎ বলেই আমি মনে করি। “