Dengue: ফিরছে ডেঙ্গুর আতঙ্ক, বিপদ এবার আরও বেশি হতে পারে, আশঙ্কা চিকিৎসকদের
Dengue: এতদিন বলা হত শহর এলাকায় ডেঙ্গুর বিপদ বেশি। কিন্তু এবার গ্রামাঞ্চলেও সে ছবি দেখা যাচ্ছে।
কলকাতা: ফিরছে ডেঙ্গুর আতঙ্ক। বিভিন্ন জেলায় ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে সতর্কবার্তা। মালদহের ইংরেজবাজার ও পুরনো মালদহে ডেঙ্গুর আতঙ্ক বাড়ছে। স্থানীয় সরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমে জ্বর নিয়ে রোগী ভর্তি বাড়ছে। প্রাক্তন স্বাস্থ্যকর্তা অজয় চক্রবর্তী সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, “এখনও অবধি যা ভাব তাতে মনে হচ্ছে ডেঙ্গু হয়ত এ বছর আগের থেকে বাড়বে।” পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখে বিপদের আঁচ পেয়েছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। এতদিন বলা হত শহর এলাকায় ডেঙ্গুর বিপদ বেশি। কিন্তু এবার গ্রামাঞ্চলেও সে ছবি দেখা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে পুরসভা থেকে পঞ্চায়েতগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভা ইতিমধ্যেই মশা দমনে ধোঁয়া দেওয়া, ড্রেন পরিষ্কার করার কাজ শুরু করেছে। যদিও এই বিষয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। ড্রেন পরিষ্কার করা হচ্ছে না, আবর্জনায় বন্ধ ড্রেনের মুখ। ফলে জমছে জল। শহরের বিভিন্ন জায়গায় জল জমায় জন্মাচ্ছে মশা। দুই পুর এলাকা জুড়েই মশার দাপটে অস্থির সাধারণ মানুষ।
অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু। গত চার মাসে ১৮ জনের শরীরে এই নমুনা পাওয়া গিয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। স্বাভাবিকভাবেই ডেঙ্গুর এই বাড়বাড়ন্ত চিন্তা বাড়িয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তড়িঘড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে নিয়ে একপ্রস্থ বৈঠক করেছেন জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মত একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান পূর্ব বর্ধমান জেলা সহকারি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতনতার পাশাপাশি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। খুব তাড়াতাড়ি পুরসভাগুলোকে নিয়েও বৈঠক হবে।
চিকিৎসক অনির্বাণ দলুই বলেন, “যে সব অঞ্চলগুলিতে প্রধানত ডেঙ্গুর লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে বা আগেও প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছে, সেইসব জায়গায় নজরদারি বাড়াতে হবে। জমা জল একেবারেই নয়। মানুষ সচেতন থাকলে বিপদ সহজেই টলানো যায়।” ইংরেজবাজার পুরএলাকার এক বাসিন্দার অভিযোগ, এলাকার ড্রেন সেভাবে পরিষ্কারই করা হয় না। সপ্তাহে একবার এসে কিছু একটা করল কী বা করল না। খুবই মশা। দোকানে বসা যায় না। স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকরা বলছেন, এ বেলা সতর্ক না হলে বিপদ কিন্তু শিয়রে। তা ভয়ঙ্কর রূপও নিতে পারে।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: আদুল গা, পরনে গামছা, কাশীপুর ঘাটে নিহত বিজেপি কর্মীদের তর্পণে দিলীপ ঘোষ