Didir Doot: ‘এখন ঝাঁটাপেটা করছে, এরপর গাধার পিঠে চড়াবে…’, ‘দিদির দূত’ নিয়ে খোঁচা সুকান্ত-দিলীপের

TMC: যদিও তৃণমূল এটাকে ক্ষোভ-বিক্ষোভ বলে ধরছেই না। তারা বলছে, মানুষ নিজেদের অভাব অভিযোগের কথা জানাচ্ছেন।

Didir Doot: 'এখন ঝাঁটাপেটা করছে, এরপর গাধার পিঠে চড়াবে...', 'দিদির দূত' নিয়ে খোঁচা সুকান্ত-দিলীপের
দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 24, 2023 | 9:27 AM

কলকাতা: জেলায় জেলায় অস্বস্তি বাড়ছে ‘দিদির দূত’দের (Didir Doot)। তা তিনি শাসকদলের তারকা সাংসদ হোন কিংবা পঞ্চায়েত স্তরের নেতা হোন। সোমবার তো মালদহে জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও এবং জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্যকে গ্রামবাসীরা গ্রামে ঢুকতেই দেননি বলে অভিযোগ। মুখে না বললেও এই ঘটনায় তৃণমূলের অন্দরে যেমন বিড়ম্বনা বাড়ছে, তেমনই বিজেপি পাচ্ছে টাটকা বাতাস। সোমবারই হুগলির হিন্দমোটরে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘দিদির দূত’দের সাধারণ মানুষ ঝাঁটাপেটা করছেন। মঙ্গলবার কলকাতার নিউটাউনে ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে দিলীপ ঘোষও খোঁচা দেন। বলেন, “ওনারা ভেবেছিলেন চোখ দেখিয়ে আঙ্গুল দেখিয়ে যেরকম চলছে, সেরকমই চলবে। সেটা হচ্ছে না।” মানুষের কথা শুনতে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের তরফে ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ ও ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি শুরু করেছে। মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক থেকে জেলাস্তরের নেতারা।

আর সেখানে গিয়েই এই পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। যদিও তৃণমূল এটাকে ক্ষোভ-বিক্ষোভ বলে ধরছেই না। তারা বলছে, মানুষ নিজেদের অভাব অভিযোগের কথা জানাচ্ছেন। সোমবারই বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেউ তার অভাব অভিযোগের কথা বললে সেটাকে ক্ষোভ বলা যায় না। এই সরকারের কাছ থেকে মানুষের প্রত্যাশা এতটাই বেড়ে গিয়েছে, তারা সবকিছু পরিষেবা পাওয়া সত্ত্বেও আরও কিছু করা হোক চাইছে।”

এ বিষয়ে বিজেপির সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সব জায়গাতেই এটা হবে, হচ্ছেও। গ্রামের মানুষ এই তৃণমূলের দিদির দূতদের ঝাঁটা পিটিয়ে বিদায় করছেন। এরপর গাধার পিঠে চড়িয়ে ঘোল ঢেলে বিদায় করবে। ২০১৮ সাল থেকে যেভাবে পঞ্চায়েতে লুঠ হয়েছে বলার নয়। অধিকাংশতেই তো তৃণমূল জেতেনি, লুঠ করেছে। এরপরই এই ভুয়ো প্রধানরা চুরি করেছে।” অন্যদিকে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, “আঙুর ফল টক। ওনারা ভেবেছিলেন চোখ দেখিয়ে আঙুল দেখিয়ে যেরকম চলছে, সেরকমই চলবে। সেটা হচ্ছে না। উনি বলছেন ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকা উচিৎ। তাহলে অম্বিকেশ মহাপাত্রকে জেলে ঢুকিয়েছিলেন কেন? উনি তো একটা কার্টুন শেয়ার করেছিলেন।”