Weather Forecast: বাবুঘাট থেকেও অদৃশ্য হাওড়া ব্রিজ, কুয়াশার সাদা চাদরে ঢাকা কলকাতা
Weather Update: ২৬ জানুয়ারি সরস্বতী পুজো। তার আগে আবহাওয়ায় আমুল বদল। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, সরস্বতী পুজোয়ও শীতের আমেজ গায়েবই থাকবে।
কলকাতা: মাঘের শুরুতেই উধাও শীত। জোরাল ব্যাটিং কুয়াশার। মঙ্গলবার সকাল থেকেই শহর কলকাতা-সহ শহরতলি ও জেলায় জেলায় কুয়াশার চাদর। কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কমে গিয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে এই কুয়াশা বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। সেই কারণেই বাড়ছে তাপমাত্রা। মঙ্গলবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। এই প্রবল কুয়াশার জেরে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে গাড়ির চালক, বাইক কিংবা সাইকেল আরোহীদের। স্কুটি চালিয়ে বরানগর থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভে অফিসে আসছিলেন এক তরুণী।জানান, বরাত জোরে বড় বিপদ থেকে রক্ষা পান। আরজি কর হাসপাতালের পাশ দিয়ে খালপাড় ধরে আসার সময় আচমকাই তাঁর স্কুটির সামনে অন্য একটি গাড়ি চলে আসে। অকস্মাৎ স্কুটির ব্রেক কষতেই পিছনের চাকা পিছলে বিপত্তি। এতটাই ঘন কুয়াশা যে এদিন বাবুঘাট থেকে হাওড়া ব্রিজও দেখা যাচ্ছিল না।
ঘন কুয়াশার কারণে এদিন সকালেই পথদুর্ঘটনা ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পুকুরে উল্টে পড়ে একটি হলুদ ট্যাক্সি। ট্যাক্সির মধ্যে তিনজন ছিলেন। বড় কোনও বিপদ না হলেও সাত সকালে ট্য়াক্সি পুকুরে পড়ায় ঘটে বিপত্তি। ঘন কুয়াশা কারণে রাস্তা দেখতে না পেয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায় এই ট্যাক্সি। এলাকার লোকজন এসে যাত্রীদের উদ্ধার করেন।
২৬ জানুয়ারি সরস্বতী পুজো। তার আগে আবহাওয়ায় আমুল বদল। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, সরস্বতী পুজোয়ও শীতের আমেজ গায়েবই থাকবে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তুরে হাওয়ার প্রবেশ পথে ভিলেন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ঝঞ্ঝাটি পূর্ব আফগানিস্তানে রয়েছে। যার জেরে বাংলায় এই হাওয়া-বদল। তবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঝঞ্ঝার সঙ্গে আগামী শুক্রবার ২৭ জানুয়ারি আরও একটি ঝঞ্ঝা ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ এবারের সরস্বতী পুজোয় প্রয়োজন পড়বে না শীত পোশাকের। কুয়াশার দাপট বহাল থাকার কারণে, তাপমাত্রা উপরের দিকেই থাকবে।
ঘন কুয়াশায় দৃশ্যমানতা কম থাকায় মঙ্গলবার অ্যালায়েন্স এয়ার বিমান ৯আই ৭৫১কে রানওয়ে থেকে ফিরে আসতে হল ট্যাক্সি বেতে। বিমানবন্দ সূত্রে খবর, কলকাতা থেকে অসমের লীলাবাড়ি বিমান বন্দরের উদ্দেশে ওই বিমানটির উড়ান নেওয়ার কথা ছিল। বিমানে ছিলেন ২৬ জন যাত্রী এবং ৬ জন কেবিন ক্রু। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে উড়তেই পারল না বিমান। এরপর কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিমানটিকে ঘুরিয়ে ট্যাক্সিবে ২৭ নম্বরে পার্কিং করানো হয়।