Netaji Subhas Open University: শিক্ষা দফতরকে না জানিয়েই উপাচার্য নিয়োগের অভিযোগ, ফের রাজ্য-রাজভবন সংঘাত প্রকাশ্যে

C V Ananda Bose: কয়েকদিন আগে পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সেখানে নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।

Netaji Subhas Open University: শিক্ষা দফতরকে না জানিয়েই উপাচার্য নিয়োগের অভিযোগ, ফের রাজ্য-রাজভবন সংঘাত প্রকাশ্যে
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 16, 2023 | 5:45 PM

কলকাতা: সম্প্রতি তৃণমূল মুখপত্র ‘জাগো বাংলায়’ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে ‘বিজেপি-র ক্যাডার’ বলে সমালোচনা করা হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের প্রকাশ্যে রাজ্য-রাজভবন সংঘাত। নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তবর্তী উপাচার্য হিসাবে ইতিহাসের শিক্ষক চন্দন বসুকে দায়িত্বভার গ্রহণের নির্দেশ রাজ্যপালের। তবে রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে না জানিয়েই আচার্যের উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, রাজভবনের এই নির্দেশে কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ শিক্ষা দফতরের।

প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সময় উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিরুদ্ধে বারবার সরব হতে দেখা যায় তাঁকে। রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ বেআইনি টুইট করে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা যায় প্রাক্তন রাজ্যপালকে। এবার একই ছবি হলেও একটু ফারাক রয়েছে। আগেরবার উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল ধনখড় এবার সি ভি আনন্দ বোসের জমানায় উপাচার্য নিয়োগে ক্ষোভ প্রকাশ রাজ্যের।

কয়েকদিন আগে পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সেখানে নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। উপাচার্যহীন অবস্থায় পড়ুয়াদের অসুবিধার কথা জানতে চান তিনি। এরপরই অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের দায়িত্ব ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও বরিষ্ঠ শিক্ষক পালন করবেন বলে জানান আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।

তবে উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি শিক্ষাদফতরকে জানানো হয়নি বলে সূত্র মারফত খবর। উচ্চ শিক্ষা দফতরের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়নি। এমনকী পূর্বতন অস্থায়ী উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে নতুন নামের প্রস্তাব রাজভবনে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাবেও কোনও সাড়া দেননি রাজ্যপাল এমনটাই দাবি শিক্ষা দফতরের। সূত্রের খবর, এর জেরে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। যদিও,এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

উপাচার্য চন্দন বসু বলেন, “আচার্য দায়িত্ব দিয়েছেন বলেই আমি উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছি। বার-বার বলছি ৩৩ কোর্সের অনুমতি দেওয়া এখন মুখ্য কাজ। এতে কয়েক লক্ষ পড়ুয়ার ভবিষ্যত জড়িত। আর এর অনুমতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রান্ড কমিশন। তার নিয়ম অত্যন্ত কঠিন। কিছু অ্যাপ্রুভাল হয়েছে। তাই পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের জন্য যা যা করণীয় করব।”