Firhad Hakim: মেয়রের ওয়ার্ডই ‘ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া অতিপ্রবণ’, পুরনিগমের রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

KMC: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ডেঙ্গি-সহ মশাবাহিত রোগ মোকাবিলা সংক্রান্ত একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছিলেন শনিবার।

Firhad Hakim: মেয়রের ওয়ার্ডই 'ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া অতিপ্রবণ', পুরনিগমের রিপোর্টে  উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
কলকাতা জল নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে ফিরহাদ হাকিম
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 06, 2022 | 5:06 PM

কলকাতা: কলকাতা পুরনিগমের বৈঠকে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ওয়ার্ড ৮২। সেই ওয়ার্ডই নাকি ‘ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া অতিপ্রবণ’ এলাকা। কলকাতা পুরস্বাস্থ্য বিভাগের রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে অগস্টের শুরুতে, এখনও পর্যন্ত প্রায় সাতজন এই এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ডেঙ্গি-সহ মশাবাহিত রোগ মোকাবিলা সংক্রান্ত একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছিলেন শনিবার। সেখানেই একটি গোপন রিপোর্ট স্বাস্থ্যবিভাগের কর্তারা তাঁর হাতে তুলে দেন। সূত্রের দাবি, সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, কলকাতায় মোট ১৩টি ওয়ার্ড ‘ডেঙ্গি অতি প্রবণ’।

সেই তালিকায় রয়েছে, ৬, ২৬, ৫৩, ৫৯, ৬৯, ৭৪, ৮২, ৮৩, ৯৩, ৯৪, ১১২, ১১৭, ১২১। গোপন রিপোর্টে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলিতে পাঁচের বেশি মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন এই ওয়ার্ডগুলিতে। শুধু ডেঙ্গি নয়, ম্যালেরিয়া অতি প্রবণ হিসাবেও কলকাতার ৩৫টি ওয়ার্ডকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এই ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে, ৭, ২১, ২৩, ২৫, ২৬, ৩৭, ৩৯, ৪৩, ৪৪, ৪৬, ৪৭, ৪৮, ৪৯, ৫০, ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪, ৫৫, ৫৯, ৬০, ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯, ৭১, ৮১, ৮২, ৮৪, ৮৫, ৮৬, ৮৮। এই ওয়ার্ডগুলিতে গত এক সপ্তাহে ৩০ জনের বেশি ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও পুরনিগমের স্বাস্থ্যকর্তারা বলছেন, কলকাতা পুরনিগমের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রক্ত পরীক্ষা করার পর যে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে, তার ভিত্তিতেই এই তথ্য তৈরি করা হয়েছে। বেসরকারি ল্যাবগুলি থেকে অনেক তথ্য পৌঁছচ্ছে না কলকাতা পুরনিগমের হাতে।

বেসরকারি ল্যাবগুলির থেকে ইতিমধ্যেই তথ্য চাওয়া হয়েছে পুরনিগমের তরফে। বিষয়টি রাজ্য স্বাস্থ্যদফতরের নজরেও আনা হয়েছে। এদিন যে রিপোর্ট জমা পড়েছে পুরনিগমে, সূত্রের খবর, তাতে বিশদে উল্লেখ করা হয়েছে কতজন কলকাতায় ১ জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত হয়েছেন। রিপোর্ট বলছে, এখনও ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ২২৯ জন। ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন ২৭৭২ জন।