Anubrata Mondal: ‘এবার তিহাড়ের জল বাতাস খেয়ে আসুন’, অনুব্রতর দিল্লিযাত্রা নিয়ে কটাক্ষ সুকান্ত-শতরূপের

Anubrata Mondal: ইডির তরফে চেষ্টা করা হবে মঙ্গলবার সকাল ১০টার মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলকে যেভাবেই হোক এ রাজ্যের সীমানার বাইরে নিয়ে যাওয়ার।

Anubrata Mondal: 'এবার তিহাড়ের জল বাতাস খেয়ে আসুন', অনুব্রতর দিল্লিযাত্রা নিয়ে কটাক্ষ সুকান্ত-শতরূপের
অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 19, 2022 | 6:24 PM

কলকাতা: কাজে এল না সিব্বল-সওয়াল। দিল্লি যেতেই হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। সোমবারই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে পারবে ইডি। দিল্লির বিশেষ আদালতের এই নির্দেশ ঘিরে জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু বঙ্গে। বিজেপির বক্তব্য, এবার আর রক্ষে নেই অনুব্রতর। তিহাড়ে তাঁকে যেতেই হবে। অন্য়দিকে সিপিএমের কটাক্ষ, এ রাজ্যের জেলে ‘জামাই-আদর’ দেওয়া হয় শাসকদলের নেতাদের। তাই ভিন রাজ্যের জেলই যথার্থ জায়গা। তবে তৃণমূলের তরফে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে, বাংলায় তদন্তে কী সমস্যা ইডির, যার জন্য দিল্লি নিয়ে যেতে চাওয়া হচ্ছে?

এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল যে কাজ করেছেন তাতে তো ওনার তিহাড়েই যাওয়ার কথা। কতদিন আর পয়সা খরচ করে আটকে রাখবেন। তিহাড়ে একটু বিহার করে আসুক কিছুদিন। এতদিন তো লোককে চড়াম চড়াম, গুড় বাতাসা অনেক কিছুই খাইয়েছেন।এ এবার তিহাড়ের জল বাতাস খেয়ে আসুন। পাপ বাপকেও ছাড়ে না। আমরা আগেই বলেছি, যত বড় চোর হোক বা যত বড় ধেড়ে ইঁদুর হোক কেউ ছাড়া পাবে না। এই অন্যায় যারা করেছে, গরুর টাকা, চাকরির টাকা, কয়লার টাকা খেয়েছে, জেলে যেতেই হবে।”

অন্যদিকে সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষের মন্তব্য, “অত্যন্ত বাস্তবসম্মত নির্দেশ। অনুব্রত মণ্ডল বা তাঁর মতো নেতারা কীভাব রাজ্যে প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করে তা আমরা ১০ বছর ধরে দেখছি। আইএস, আইপিএস থেকে শুরু করে ডব্লুবিসিএস অফিসার, ডিএম, এসপি সকলেই এনাদের সামনে জোড়াজুড়ি করেন। এদের কথায় পুলিশ কেস সাজায়। এদের কাছে পশ্চিমবঙ্গের জেল পাঁচতারা হোটেল থেকে কিছু কম নয়। এরা বোধহয় বাড়িতেও এত খাতির পায় না, জেলে যা পায়। অপরাধীদের সঙ্গে যেমন ব্যবস্থা হওয়া দরকার। সেই ব্যবস্থা দিতে বাংলার বাইরে নিয়ে যাওয়াই দরকার।”

যদিও এ প্রসঙ্গে টিভিনাইন বাংলার ‘বিকেলের বিতর্ক’ অনুষ্ঠান এসে তৃণমূল মুখপাত্র জুঁই বিশ্বাস বলেন, “ওনার আইনজীবীরা আছেন, ঠিকই আইনি লড়াই লড়বেন। তা দিল্লিতে হোক বা কলকাতায় হোক। আমাদের বক্তব্য, আজ ইডি হঠাৎ দিল্লি কেন নিয়ে যাচ্ছে? বাংলায় তো তদন্ত চলছিল। আসলে ইডি সিবিআই বেছে বেছে তৃণমূল নেতাদের টার্গেট করছে। ইডি, সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি ৯৫ শতাংশই দেশের বিরোধী দলের নেতারা।”