Bow Bazar: বউবাজারে ক্ষতিপূরণের ফর্ম বিলি শুরু, এক মাসের মধ্যেই মিলবে টাকা
Bow Bazar Metro: যাঁদের বাড়ির ক্ষতি হয়েছে তাঁদের ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ক্ষতিপূরণ দেবে মেট্রোর নির্মাণ সংস্থা কেএমআরসিএল।
কলকাতা: কেএমআরসিএল (KMRCL) ও রাজ্য প্রশাসনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার থেকে বউবাজারে ক্ষতিপূরণ যাঁরা পাবেন , তাঁদের জন্য ফর্ম বিলি শুরু হল। দুপুর সাড়ে তিনটে পর্যন্ত মোট ৬০ জন এই ফর্ম নিয়ে গিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে’র অফিস থেকে। কাউন্সিলর জানিয়েছেন, দু’রকমের ফর্ম রাখা হয়েছে। একটি ব্যবসায়ীদের জন্য, অপরটি বাসিন্দাদের জন্য। শনিবারের মধ্যে এই ফর্ম জমা করতে হবে। এরপর এই ফর্ম স্থানীয় থানার আধিকারিক এবং কলকাতা পুরনিগমের আধিকারিক সই করবেন। কাউন্সিলর ছাড়াও তিনজনের সই থাকবে ওই ফর্মে। তারপর সেটি জমা করা হবে। নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবেন বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ীরা।
মেট্রোর কাজ চলছে বউবাজারে। ভূগর্ভে সেই কাজ করতে গিয়েই এলাকার একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরে বলে অভিযোগ ওঠে। বাসিন্দারা বাড়ি ছেড়ে বাধ্য হন হোটেলে থাকতে। এ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন তাঁরা। এরপরই নবান্নে এক প্রশাসনিক বৈঠক ডাকা হয়। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, কলকাতার পুলিশ কমিশনার, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ-সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা সেই বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের পরই ঘোষণা করা হয়, বউবাজার বিপর্যয়ে যাঁরা গৃহহীন হয়েছেন তাঁদের ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ক্ষতিপূরণ দেবে মেট্রোর নির্মাণ সংস্থা কেএমআরসিএল (KMRCL)।
সরকারি নির্দেশিকা প্রকাশ করে জানানো হয়, ১০০ স্কোয়ার ফুটের মধ্যে যে দোকানগুলি বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে, দেড় লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবে তারা। পাশাপাশি ১০০ স্কোয়ার ফুটের বেশি জায়গায় যে দোকানগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের মালিকরা ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ঠিক হয়, যে বাড়ি ও দোকানগুলি ঠিকঠাক করা সম্ভব নয়, সেগুলি পুনর্নির্মাণ করা হবে। নবান্নে বৈঠকে সিদ্ধান্ত মোতাবেক সোমবার থেকে ক্ষতিপূরণের ফর্ম বিলি করা শুরু হয়েছে।
কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে বলেন, “সোমবার থেকে ফর্ম দেওয়া শুরু হল। শনিবারের মধ্যে সকলে জমা দিতে হবে।” তিনি জানান, ফর্ম দেখবেন স্থানীয় কাউন্সিলর, স্থানীয় থানার অফিসার ইনচার্জ ও পুরনিগম। এরপর সেই ফর্ম যাবে কেএমআরসিএলের কাছে। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর যেমন বলেছেন, পনেরো দিন থেকে এক মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হবে। কাউন্সিলর জানান, “ফর্ম আমার অফিসেই জমা করবেন। আমরাই বাকিটা করব। কাউকে কোথাও ঘুরতে হবে না। এই অফিস থেকেই কোঅর্ডিনেট করা হবে।”