SSC Recruitment Case: প্রসন্ন-প্রদীপকে জেলে গিয়ে জেরা করবে CBI, অনুমতি পেল আদালতের

SSC: নবম দশম নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআই চার্জশিট দাখিল করেছে। সেখানে ১২ জনের নাম ছিল।

SSC Recruitment Case: প্রসন্ন-প্রদীপকে জেলে গিয়ে জেরা করবে CBI, অনুমতি পেল আদালতের
প্রসন্ন রায়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 27, 2023 | 4:00 PM

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত মিডলম্যান প্রসন্ন রায় ও প্রদীপ সিংকে জেরার অনুমতি পেল সিবিআই (CBI)। জেলে গিয়ে প্রদীপ, প্রসন্নকে জেরা করতে পারবে সিবিআই। আলিপুর আদালত এমনই অনুমতি দিল। সূত্রের খবর, যে কোনওদিনই বেলা ৩টে থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাঁদের জেরা করতে পারবেন তদন্তকারীরা। গ্রুপ সি মামলায় এই দুই মিডলম্যানকে জেরা করার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল সিবিআই। গত ১৯ জানুয়ারি আদালতে যায় তারা। প্রসন্ন রায় ও প্রদীপ সিংকে নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, গ্রুপ সি নিয়োগের সঙ্গেও যুক্ত তাঁরা। অভিযোগ, টাকা সংগ্রহ ও প্রার্থী জোগাড় করার কাজ করতেন তাঁরা। এমনও সূত্রের খবর, জেরায় সন্তুষ্ট না হলে সিবিআই তাঁদের হেফাজতে নিতে পারে।

নবম দশম নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআই চার্জশিট দাখিল করেছে। সেখানে ১২ জনের নাম ছিল। এসএসসি প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, এসএসসি প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, এসএসসি প্রাক্তন সহকারী সচিব অশোক সাহা, এসএসসি অ্যাডহক কমিটির প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়দের সঙ্গে নাম রয়েছে এই প্রসন্ন রায়, প্রদীপ সিংয়ের। এছাড়াও নাম ছিল এসএসসি প্রাক্তন প্রোগ্রাম অফিসার পর্ণা বসু, এসএসসি প্রোগ্রাম অফিসার সমরজিৎ আচার্যের।

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রসন্ন রায়ের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্ক রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। পার্থর ভাগ্নি-জামাই বলে সূত্রের দাবি। প্রসন্নর একটি গাড়ি ভাড়া দেওয়ার সংস্থা রয়েছে। সল্টলেকের জিডি ব্লকে রয়েছে অফিস। সেই অফিসের আড়ালে টাকা লেনদেন হতো বলেই তদন্তে উঠে এসেছে। সূত্রের খবর, গভীর রাতে টাকা ঢুকত ওই অফিসে। প্রসন্নর অফিসে একটি কালো রঙের বিলাসবহুল গাড়ি থাকত। ওই গাড়িটিকে ব্যবহার করেই টাকা আনা হত।

প্রসন্ন রায়ের সঙ্গেই উঠে আসে প্রদীপ সিংয়ের নাম। সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার নিয়োগ সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের ‘ডিল’ হত এই অফিস থেকে। প্রসন্ন ও প্রদীপের কাছে এমন চাকরিপ্রার্থীদের তালিকাও থাকত বলে সূত্রের খবর।