Madan Mitra-Sujan: ‘এখন তো হাসপাতালটা বোধহয় অরূপ বিশ্বাস দেখেন’, তৃণমূলে মদনের গুরুত্ব নিয়ে ঠেস সুজনের
Madan Mitra: মদন মিত্র বলেন, এসএসকেএম আর সাধারণের হাসপাতাল নেই। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, বাম আমলে এ হাসপাতালে অনায়াসে রোগী ভর্তি করাতে পারতেন তিনি। এমনকী সিপিএম সরকারে থাকলে এতক্ষণে রোগী সুস্থ হয়ে বাড়িতে চলে যেতেন বলেও মন্তব্য করেন মদন।
কলকাতা: এসএসকেএমের (SSKM) পরিষেবা নিয়ে মদন মিত্রের (Madan Mitra) মন্তব্য ঘিরে জোর বিতর্ক। বাম আমলে এই হাসপাতালের পরিষেবার প্রশংসা করে শুক্রবার রাতে সুর চড়ান মদন। প্রশংসা করেন বাম সরকারেরও। জবাবে এবার মদনকে ঠেস সুজনের। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্যকে দলের প্রতি হতাশার সুর বলে কটাক্ষ করেছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। শুক্রবার গভীর রাতে রোগী ভর্তি করাতে না পেরে এসএসকেএমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন মদন মিত্র। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এ নিয়ে রীতিমতো তোপ দাগেন তিনি। মদন মিত্র বলেন, এসএসকেএম আর সাধারণের হাসপাতাল নেই। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, বাম আমলে এ হাসপাতালে অনায়াসে রোগী ভর্তি করাতে পারতেন তিনি। এমনকী সিপিএম সরকারে থাকলে এতক্ষণে রোগী সুস্থ হয়ে বাড়িতে চলে যেতেন বলেও মন্তব্য করেন মদন। এ নিয়ে রীতিমতো মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন মদন মিত্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হস্তক্ষেপ না করা পর্যন্ত সে নো টু পিজি (SayNoToPG), ডাক দিয়েছেন মদন মিত্র।
এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এখন তো হাসপাতাল দেখেন বোধহয় অরূপ বিশ্বাস। মদন মিত্রের থেকেও বেশি এখন হাসপাতালে যুক্ত হয়ে গিয়েছেন। সকলে জানে এখন যে রোগী হাসপাতালে ভর্তি করা যায় না। রেফার রোগীও নেয় না। চেষ্টা করলেও গুরুত্বপূর্ণ রোগী আটকে যান। সব যদি রেফারেন্সে চলে তা হলে তো মদন মিত্রের থেকে যাঁরা আরও বড় নেতা, তাঁদের রেফারেন্সের জোর বেশি। মদন মিত্রের কথার তো কোনও গুরুত্বই নেই।”
মদন মিত্রের ‘সে নো টু পিজি’ আসলে মদনের হতাশার বহিঃপ্রকাশ বলেই মন্তব্য করেন সুজন চক্রবর্তী। একইসঙ্গে এদিন সুজন বলেন, এই হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ড দুষ্কৃতীদের আস্তানা। অথচ যাঁদের প্রকৃতই চিকিৎসা দরকার, তাঁরা তা পান না বলে অভিযোগ করেন সুজন।
যদিও এর পাল্টা তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “মদন মিত্র কেন এ কথা বলেছেন বলতে পারব না। তবে সুজনবাবুর কথা শুনে আমার হাসি পাচ্ছে। কারণ, বাম আমলে স্বাস্থ্য পরিষেবাটা বিক্রি হতো। একটা ১ টাকার ক্যালপল পর্যন্ত রোগীকে কিনে দিতে হতো। হাসপাতালের বেডে ভাড়া দিয়ে থাকতে হতো। হাসপাতালের সমস্ত পরীক্ষা পয়সা দিয়ে করতে হতো।”