Dengue: ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যু শহরে, কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু উত্তর প্রদেশের যুবতীর
Dengue: পুজোর সময় বিভিন্ন প্যান্ডেলে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতার বার্তাও দিতে দেখা গিয়েছে। মাইকিংয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন মণ্ডপের সামনে রাখা ছিল ফ্লেক্স।
কলকাতা: ফের শহরে ডেঙ্গিতে মৃত্যু। এবার মৃত্যু হল উত্তর প্রদেশের এক যুবতীর। তিনি কলকাতায় সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতের নাম অর্চনা দেবী (২৯)। জানা গিয়েছে, অর্চনা দেবীর প্লেটলেট অনেকটাই কমে গিয়েছিল। এরপরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন পড়ে। দশমীর দিন অর্থাৎ বুধবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। বৃহস্পতিবারই মারা যান তিনি।
কিছুতেই ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। কলকাতা, বিধাননগর, উত্তর ২৪ পরগনার বেশ কিছু জায়গায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগের। টানা এই আতঙ্কের পরিস্থিতি চলছে। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৬০৭ জন। এখনও অবধি ৭০১ জন ডেঙ্গি রোগী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, গত এক সপ্তাহে ৪ হাজার ৬৭৮ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। বাঁকুড়া জেলায় কিছুটা বেড়েছে ডেঙ্গি সংক্রমণ। তবে জলপাইগুড়ি ও হাওড়ায় কিছুটা কমেছে ডেঙ্গি সংক্রমণ। গত সপ্তাহেই ৯ জেলার ১২টি ব্লকের উদ্বেগের ছবি তুলে ধরেছিল স্বাস্থ্যভবন। মুর্শিদাবাদের লালগোলা, ভগবানগোলা-১ ও ফরাক্কা হাওড়ার বালি জগাছা, উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা, জলপাইগুড়ির মাল, দার্জিলিংয়ের মাটিগাড়া, আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট, নদিয়ার রানাঘাট ২, দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ, নদিয়ার নবদ্বীপ ও কৃষ্ণনগর-১ ব্লকে নজরও রাখে তারা।
পুজোর সময় বিভিন্ন প্যান্ডেলে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতার বার্তাও দিতে দেখা গিয়েছে। মাইকিংয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন মণ্ডপের সামনে রাখা ছিল ফ্লেক্স। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন জায়গায় জল জমেছে। আর এই জমা জলই ডেঙ্গির আতুরঘর। তাঁদের পরামর্শ বর্ষা পুরোপুরি বিদায় না নেওয়া পর্যন্ত সতর্ক থাকতেই হবে। দিনে হোক বা রাতে, ঘুমানোর সময় মশারি টাঙানো অত্যাবশ্যক। ঘরে বা আশপাশের এলাকার কোনওভাবেই জল জমতে দেওয়া যাবে না। বাড়ির এলাকায় পরিষ্কার রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।