E nuggests Case: কোটি কোটি টাকার ‘আমিরি খেল’, ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলেই গার্ডেনরিচের আমির খান

Fraud Case: এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশও সমান্তরালভাবে তদন্ত চালাচ্ছে ই নাগেটস মোবাইল অ্যাপ কাণ্ডে।

E nuggests Case: কোটি কোটি টাকার 'আমিরি খেল', ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলেই গার্ডেনরিচের আমির খান
ধৃত আমির খান।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 08, 2022 | 8:15 PM

কলকাতা: ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ আমির খানকে। বৃহস্পতিবার ইডি আদালতে তোলা হলে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। জেলে গিয়ে জেরা করতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল ইডি (ED)। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। মোবাইল গেমিং অ্যাপ প্রতারণা মামলায় গার্ডেনরিচের আমির খানকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ১৭ কোটি টাকা। এরপর এই মামলায় পরতে পরতে খুলেছে রহস্যর জট। গত সেপ্টেম্বরে কলকাতার বুকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। গার্ডেনরিচের বাসিন্দা নিসার আহমেদ খানের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। সেখান থেকেই কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়। এই নিসার আহমেদের ছেলেই আমির খান। যাঁকে স্ক্যানারে নিতেই উঠে আসে অনলাইন গেমিং অ্যাপ ‘ই-নাগেটস’ (E NUGGETS)-এর নাম। মূলত এই গেমিং অ্যাপে টাকা খাটিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন বহু মানুষ। শুধু এ রাজ্যেই নয়, দেশের বিভিন্ন রাজ্যের থানায় এই জালিয়াতি সংক্রান্ত অভিযোগও দায়ের হয়।

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশও সমান্তরালভাবে তদন্ত চালাচ্ছে ই নাগেটস মোবাইল অ্যাপ কাণ্ডে। কলকাতা পুলিশও ইতিমধ্য়েই এই ঘটনায় ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগের সন্ধান পেয়েছে। ই-নাগেটস মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে লোক ঠকানোর কারবারের বিপুল পরিমাণ টাকা ক্রিপ্টোয় বিনিয়োগ করা হয়েছিল বলে সন্দেহ তদন্তকারী আধিকারিকদের। কলকাতা পুলিশ আমির খানের একটি অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করে। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে ১৪.৫৩ কোটি টাকার ক্রিপ্টোকারেন্সি ছিল বলেও পুলিশ সূত্রে জানা যায়। ব্যাঙ্কশাল কোর্টের নির্দেশ ওই অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্তও করা হয়।

কীভাবে আমির খান তদন্তকারীদের নজরে আসেন? ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পার্ক স্ট্রিট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। জনৈক আমির খানের নামে ওই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কও অভিযোগ করেছিল। যার ভিত্তিতে মামলা হয় ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। অভিযোগ, ই নাগেটস নামে অনলাইন মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে মানুষকে প্রতারণা করে বিপুল টাকার মালিক হন আমির খান। বেশ কয়েকদিন ধরে তল্লাশি চালানোর পর অবশেষে গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। উদ্ধার হওয়া বিপুল টাকার উৎস জানতে মরিয়া ইডি।