Artificial Intelligence: উচ্চমাধ্যমিকে পড়ানো হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, আগামী বছর থেকেই পঠনপাঠন শুরুর ভাবনা রাজ্যে

Artificial Intelligence: নিঃসন্দেহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এই বিষয়টি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে পড়াশোনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয়ের দরজাও খুলতে পারে ভবিষ্যতে।

Artificial Intelligence: উচ্চমাধ্যমিকে পড়ানো হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, আগামী বছর থেকেই পঠনপাঠন শুরুর ভাবনা রাজ্যে
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 04, 2022 | 7:30 AM

কলকাতা: একাদশের সিলেবাসে নয়া দুই বিষয়ের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা। দু’টি নতুন বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ পেতে পারেন পড়ুয়ারা। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের শিক্ষাবর্ষ থেকে উচ্চমাধ্য়মিকের পাঠ্যসূচিতে আসতে পারে ডেটা সায়েন্স (Data Science) ও আর্টিফিশায়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence) বা আইই।

আগামী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার আগে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে শোনানো হল সুখবর। উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে আরও দু’টি নতুন বিষয় যুক্ত হতে চলেছে। ২০২৩ সাল থেকে মাধ্যমিক পাশ করে যারা একাদশ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করবে তাদের জন্য পাঠ্যসূচিতে দু’টি নতুন বিষয় যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এক, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং দুই, ডেটা সায়েন্স।

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, ডেটা সায়েন্স বিষয়টির নাম হয়ত কম্পিউটার প্রোগ্রামিং অ্যান্ড ডেটা সায়েন্স হতে পারে। একইসঙ্গে জানান, এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আপাতত সংসদের অভ্যন্তরীন যে বিশেষজ্ঞ কমিটি রয়েছে, বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দু’টি বিষয়ের সিলেবাস তৈরির জন্য বলা হয়েছে। প্রশ্নের ধরনই বা কেমন হবে এই বিষয়গুলির ক্ষেত্রে সবদিক নিয়েই কথা চলছে।

চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “দু’টি বিষয়ই এখন ভীষণভাবে সমসাময়িক। যারা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক বা ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্ট্রিম নিয়ে পড়াশোনায় ইচ্ছুক তাদের জন্য এই দু’টি বিষয় ভীষণ উপকারি হবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এখন প্রতিটি ক্ষেত্রেই অত্যন্ত কার্যকরী। আমাদের মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে টিভি, ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস, স্মার্ট লাইট বা গাড়িতে পর্যন্ত এর ব্যবহার হয়। ইদানিং যে ফেক নিউজের কথা শুনি, তা ধরতেই এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে এটা একটা বিরাট টুলস। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রতিটি ডিসিপ্লিনে ব্যবহার করা হয়। এখানে আমরা কম্পিউটার প্রোগ্রামিংও ঢোকাবো।”

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স পড়ানোর জন্য যে পরিকাঠামো দরকার তা কি এ রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে রয়েছে? চিরঞ্জীববাবুর কথায়, “আইটি ল্যাব অধিকাংশ স্কুলেই রয়েছে। আমি অনেক স্কুলেই গিয়ে দেখেছি। আর যে স্কুলগুলি এ বিষয়ে পড়াতে আগ্রহ দেখাবে তারাই নেবে।” ২০৩ সালের সিলেবাসে এই অন্তর্ভুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে সংসদের। সংসদ সভাপতি জানান, বিশেষজ্ঞ কমিটি সবকিছু চূড়ান্তভাবে স্থির করতে পারলে তবেই সামনের বছর বিষয় দু’টি চালু হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে তিনি কথাও বলেছেন। তিনি জানান, রাজ্য সরকার খুবই আগ্রহী।