Recruitment Scam: প্রভাব খাটিয়ে যাঁরা চাকরি পেলেন, তাঁদের গ্রেফতার নয় কেন? প্রশ্ন আদালতের

Alipur: সুবীরেশ ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রে এদিন তদন্তকারী অফিসার (IO) বলেন, ৬৭৭ জন চাকরিপ্রার্থীর নম্বরে প্রভাব খাটিয়েছেন সুবীরেশ। পাল্টা বিচারক জানতে চান, 'কতজনকে আপনারা এক্সামিন করেছেন?'

Recruitment Scam: প্রভাব খাটিয়ে যাঁরা চাকরি পেলেন, তাঁদের গ্রেফতার নয় কেন? প্রশ্ন আদালতের
নিয়োগ দুর্নীতি মামলা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 14, 2022 | 3:31 PM

কলকাতা: সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ঘিরে ফের সরগরম এজলাস। জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে সোমবার ফের আদালতে তোলা হয় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত শিক্ষাকর্তাদের। এসএসসির গ্রুপ সি মামলা ও নবম দশম শিক্ষক দুর্নীতি মামলার এদিন শুনানি হয় আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে (Alipur Special CBI Court)। সেখানে সশরীরে হাজির করানো হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন সদস্য শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহা, প্রাক্তন এসএসসি চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, প্রদীপ সিং ও পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়দের। এদিন শুনানির শুরুতে প্রসন্ন রায় ও প্রদীপ সিংয়ের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তার কপি দেওয়া হয়নি।। জেরা প্রক্রিয়াও মাঝে মাঝে হচ্ছে না। তাহলে কেন তাঁদের হেফাজতে রাখা হচ্ছে? বলেন, ‘সিবিআই বলছে তদন্ত শেষ হয়নি, চলছে। তাই তারা হেফাজতে চাইছে। কিন্তু চার্জশিট দিচ্ছে মানে তো তদন্ত শেষ। আবার সাবমিশনে বলছে তদন্ত শেষ হয়নি। প্রশ্ন হল তদন্ত কি শেষ হয়েছে? যদি হয় তাহলে জামিন দেওয়া হোক।”

একই প্রশ্ন তোলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহার (SP Sinha) আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, চার্জশিট মানে তো তদন্ত শেষ। তাহলে কেন এখনও হেফাজতে চাওয়া হচ্ছে? তিনি বলেন, ‘একটা নতুন জিনিস আমরা দেখলাম, সিবিআই বলছে এসপি সিনহার থেকে একটি গ্যাজেট পাওয়া গিয়েছে যার থেকে পরীক্ষার উত্তরপত্র ও ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে। সিবিআই বলছে এটা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। চার্জশিটও দিল। চার্জশিটের পর আবার হেফাজতে চাওয়ার বিষয়টা স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি সিবিআই বলছে এই ঘটনায় আর্থিক লেনদেন হয়েছে, সেটাও তারা দেখছে। কিন্তু ইডি তো মানি ট্রেলের তদন্ত করছে পিএমএলএতে। কি করে একই ইস্যুতে দুই এজেন্সি তদন্ত করতে পারে?’ তিনি বলেন, এসপি সিনহাকে আর হেফাজতে রাখার কোনও প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে হচ্ছে না। এসপি সিনহার বয়স ও অসুস্থতার বিষয়টি নজরে রেখে জামিনের আবেদনও করেন তিনি।

অন্যদিকে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রে এদিন তদন্তকারী অফিসার (IO) বলেন, ৬৭৭ জন চাকরিপ্রার্থীর নম্বরে প্রভাব খাটিয়েছেন সুবীরেশ। পাল্টা বিচারক জানতে চান, ‘কতজনকে আপনারা এক্সামিন করেছেন?’ আইও জানান, ৪ জনকে। এরপরই বিচারক বলেন, কেন তাঁদেরও হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে না? আইও জবাব দেন, ‘এদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। আরও নাম পাওয়া গিয়েছে। তাঁদেরও জেরা করা হবে।’ বিচারক পাল্টা বলেন, ‘সে তো চারজনকে হেফাজতে নিয়েও করা যায়। তাঁরাও তো পার্ট অব কন্সপিরেসি।’

এরপরই সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘আমরা বসে নেই। তদন্ত করে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করার কাজ করছি।’ বিচারক জানতে চান, ‘সেটা কতদিন ধরে চলছে?’ সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘আমরা প্রতি শুনানিতে নতুন নতুন তথ্য প্রমাণ যা হাতে পাচ্ছি সেসব তুলে ধরেছি। আমরা আর্থিক দুর্নীতির দিক দেখছি না। কীভাবে নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে, কারা কীভাবে যুক্ত, সে দিকটারই তদন্ত করা হচ্ছে।’ দু’টি মামলার ক্ষেত্রেই সওয়াল জবাব পর্ব শেষে অর্ডার রিজার্ভ রাখা হয়।