Saraswati Puja 2023: সরস্বতী পুজো নিয়ে স্বর-গরম: ‘জালি হিন্দু’, খোঁচা শুভেন্দুর; কুণালের কটাক্ষ, ‘হিন্দু ধর্মের কলঙ্ক’

Presidency University: প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো করতে চায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বা টিএমসিপি। ডিন অব স্টুডেন্টসকে চিঠিও লিখেছে তারা।

Saraswati Puja 2023: সরস্বতী পুজো নিয়ে স্বর-গরম: 'জালি হিন্দু', খোঁচা শুভেন্দুর; কুণালের কটাক্ষ, 'হিন্দু ধর্মের কলঙ্ক'
কুণাল ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 23, 2023 | 4:43 PM

কলকাতা: প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে (Presidency University) সরস্বতী পুজো করতে চায় টিএমসিপি। এই মর্মে ডিনকে চিঠিও লিখেছিল তারা। তবে মৌখিকভাবে ডিন জানিয়ে দেন, তা সম্ভব নয়। কারণ হিসাবে তিনি জানান, প্রেসিডেন্সিতে ধর্মাচরণের কোনও রেওয়াজ নেই। ইতিমধ্যেই এই সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। সে তরজায় কখনও তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের নাম। কখনও আবার তৃণমূলের ছাত্র নেতাদের মধ্যেও দেখা গিয়েছে মতপার্থক্য। এবার সেই তরজায় ঢুকে পড়ল তৃণমূল ও বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনকে ‘জালি হিন্দু’ বলে খোঁচা দিয়েছে। পাল্টা তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, “ও একটা হিন্দু ধর্মের কলঙ্ক। ওর মুখে এসব কথা মানায় না।”

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো করতে চায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বা টিএমসিপি। ডিন অব স্টুডেন্টসকে চিঠিও লিখেছে তারা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ সভাপতি ও প্রেসিডেন্সির রাজ্যের দলীয় কোঅর্ডিনেটর প্রান্তিক চক্রবর্তীর দাবি, ডিন মৌখিকভাবে তাঁদের জানিয়ে দিয়েছেন, তা সম্ভব নয়। এরপরই প্রান্তিকরা জানান, অনুমতি না পেলে গেটের সামনে পুজো করবেন তাঁরা। ২৬ জানুয়ারি সরস্বতী পুজো। মাঝে আর দু’দিন বাকি। ক্রমেই পারদ চড়ছে।

এরইমধ্যে সোমবার নেতাজির জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ওসব জালি হিন্দু। কোনও লাভ হবে না।” এরই পাল্টা কুণাল ঘোষকে এদিন বলতে শোনা যায়, “এত কুৎসিত, ও একটা হিন্দু ধর্মের কলঙ্ক। ওর মুখে এসব কথা মানায় না। যে ২০২০ সাল অবধি তৃণমূল কংগ্রেসেই ছিল। এখন সিবিআই, ইডি থেকে বাঁচতে বিজেপি করতে গিয়ে এসব বলছে। আর বিজেপি মানেই হিন্দু এর মানে কী? আমরা কি বানের জলে ভেসে এসেছি? আমাদের বাড়িতে কি ঠাকুর ঘর নেই? আমাদের মা-ঠাকুমা কিছুই কি শেখাননি? বাঁচতে বিজেপিতে গিয়ে এখন বড় বড় কথা বলছে।”

একইসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, “এই সরস্বতী পুজো নিয়ে জোরাজুরির কোনও বিষয়ই নেই। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ওখানে শক্তি বাড়ছে। ওরা সবাই চেয়েছে সরস্বতী পুজো সুন্দর করে হোক। যারা বলছে, এটা রীতি, এখানে হয় না। সেটাকেও তো সম্মান দিচ্ছি। এ নিয়ে গেল গেল রবের কিছুই নেই। যদি রীতিতে থাকে, আমাদের ছেলেরা গেটের বাইরে করবে।”