Bratya Basu: ‘পঞ্চায়েতের আগে বাচ্চাদের চিকেন দিয়েছিল উত্তর প্রদেশ, ত্রিপুরা?’, পাল্টা খোঁচা ব্রাত্যর
Bratya Basu on Mid Day Meal: দুই বিজেপি শাসিত রাজ্যের উদাহরণ টেনে ব্রাত্যর পাল্টা প্রশ্ন, "ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাচ্চাদের চিকেন দেওয়া হয়েছিল? উত্তর প্রদেশে কি পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাচ্চাদের চিকেন দেওয়া হয়েছিল? মরশুমি ফল বাচ্চাদের দেওয়া হয়েছিল?"
কলকাতা: রাজ্য সরকার পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) ক্ষেত্রে সম্প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মিড ডে মিলে এবার থেকে পড়ুয়ারা মুরগির মাংস ও মরশুমি ফলও পাবে। এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর সিদ্ধান্ত আসার পর থেকেই বিরোধী শিবিরের থেকে অনেকেই খোঁচা দিতে শুরু করেছে। খোঁচা এসেছে বিজেপি শিবির থেকেও। বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ এই নিয়ে ভোট রাজনীতি তত্ত্ব উস্কে দিয়েছেন। বলেছেন, “ভোট এলে মনে পড়ে। উনি এভাবেই সব ইলেকশন জিততে চান।” শুধু দিলীপ ঘোষই নন, আরও অনেক বিজেপি নেতাই খোঁচা দিয়েছেন এই নিয়ে। এবার তার পাল্টা দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। দুই বিজেপি শাসিত রাজ্যের উদাহরণ টেনে তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, “ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাচ্চাদের চিকেন দেওয়া হয়েছিল? উত্তর প্রদেশে কি পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাচ্চাদের চিকেন দেওয়া হয়েছিল? মরশুমি ফল বাচ্চাদের দেওয়া হয়েছিল?”
মিড ডে মিল প্রসঙ্গে বিরোধীদের বাঁকা খোঁচা পাল্টা দিয়ে ব্রাত্য বসু বললেন, “পঞ্চায়েত ভোট পশ্চিমবঙ্গে আছে। কিছুদিন আগে ত্রিপুরায় হয়েছে, কিছুদিন আগে উত্তর প্রদেশে হয়েছে। উত্তর প্রদেশ তো না হয় ধরে নেওয়া যাক নিরামিষাশী। ত্রিপুরায় তো পঞ্চায়েত ভোটের সময় কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা গিয়েছে। ত্রিপুরা সরকার কেন বাচ্চাদের চিকেন দিতে পারল না? আপনারা যদি প্রত্যন্ত স্কুলে যান, দেখবেন বাচ্চারা আনন্দ পাচ্ছে, খুশি হচ্ছে। খাবারটা যখন খাচ্ছে, ওদের চোখ চকচক করে উঠছে। এই আনন্দকে যাঁরা কটাক্ষ করছেন, আমার মনে হয় এমন রুচিহীন কথা যাঁরা বলেন, যাঁরা বাচ্চাদের আনন্দ নিয়ে ঠাট্টা করেন, তাঁদের কথার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না।”
প্রসঙ্গত, রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত মিড ডে মিলে নতুন মেনু নির্ধারণ করা হয়েছে। আপাতত চার মাসের জন্য সেই নতুন মেনুতেই চিকেন ও মরশুমি ফল যোগ করা হয়েছে। আর এই নিয়েই বাঁকা আক্রমণ শানাচ্ছে বিরোধী শিবির।