Nabanna: চেয়ার-টেবিল ভাঙচুরের সঙ্গে চুরি টয়লেট প্যানও, পঞ্চায়েত ভোটে স্কুলগুলির ক্ষতি ৩৬ লক্ষ টাকা
Nabanna: পঞ্চায়েত ভোট যত কাছে এসেছিল রাজ্যজুড়ে তত বেড়েছিল হিংসা-অশান্তির ঘটনা। মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু হয়ে ভোটের দিন-ভোটের ফল ঘোষণা এমনকী ভোটের পরও জারি রয়েছে হিংসা।
কলকাতা: কী কী না ঘটেছে এই পঞ্চায়েত ভোটে। কারোর বিরুদ্ধে ব্যালট পেপার খেয়ে নেওয়ার অভিযোগ। কোথাও আবার দেখা গিয়েছে বাক্স নিয়ে দৌড়। আর এবার স্কুলের টয়লেট প্যান চুরির অভিযোগ। শুধু তাই নয়, রাজ্যের অন্তত ২০০টি স্কুলে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এই সমস্ত বিষয় উল্লেখ করে নবান্নে পাঠানো হল ক্ষয়ক্ষতির তালিকা।
পঞ্চায়েত ভোট যত কাছে এসেছিল রাজ্যজুড়ে তত বেড়েছিল হিংসা-অশান্তির ঘটনা। মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু হয়ে ভোটের দিন-ভোটের ফল ঘোষণা এমনকী ভোটের পরও জারি রয়েছে হিংসা। বোমাবাজি-মারধরের অভিযোগ আকছার সামনে আসছে। এর পাশাপাশি বাড়ছে হিংসায় মৃতের সংখ্যা। আর এবার সামনে এল চুরির ঘটনা।
পঞ্চায়েত ভোট মূলত প্রাথমিক স্কুল বা অঙ্গনওয়াড়িগুলিতে হয়ে থাকে। ভোটের পর স্কুল শিক্ষ দফতর জেলাশাসকদের কাছ থেকে জানতে চেয়েছে বিদ্যালয়গুলিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত। সেখানে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যাচ্ছে, সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মুর্শিদাবাদে। সেখানে ১৩৫টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত। এর পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুরের ২৮টি স্কুলে ভাঙচুর করা হয়েছে, মালদার ২০টি ও কোচবিহারের ১০টি স্কুলে ও হাওড়ার দুটি স্কুলে ভাঙচুর করা হয়েছে। সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে দরজা-জানালা ভাঙচুরের পাশাপাশি ইলেকট্রিক বোর্ড, গ্যাস সিলিন্ডার, মিড-ডে মিলের সরঞ্জাম, এমনকী বাথরুমের প্যান চুরি হয়ে গিয়েছে। নবান্নকে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যাচ্ছে, মোট ৩৬ লক্ষ ৫৭ হাজার ৮১৩ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।