Panchayat Election: বাহিনী-তরজার আবহে বিএসএফের রিপোর্ট যাবে শাহের মন্ত্রকে, প্রয়োজনে কোর্টেও

Bengal Panchayat Election: ডিআইজি ইস্টার্ন কমান্ডের কথায়, যেখানে বাহিনী ছিল, সেখানে কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। দু' এক জায়গায় ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করা হলেও বাহিনী তা নিয়ন্ত্রণেই রাখে। তবে বারবারই তিনি বলেছেন, কমিশনের সঙ্গে সমন্বয়ের একটা অভাব ছিল।

Panchayat Election: বাহিনী-তরজার আবহে বিএসএফের রিপোর্ট যাবে শাহের মন্ত্রকে, প্রয়োজনে কোর্টেও
বিএসএফ ডিআইজি ইস্টার্ন কমান্ড এসএস গুলেরিয়া। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 10, 2023 | 4:24 PM

কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে শনিবার জেলায় জেলায় হিংসার ছবি দেখা গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে। অধিকাংশ জায়গায় তাদের ব্যবহারই করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বিএসএফ সরব রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। বৈঠক, ফোন এবং চিঠি লিখে তা জানিয়েও দিয়েছেন বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড। বিএসএফের ডিআইজি ইস্টার্ন কমান্ড এসএস গুলেরিয়ার দাবি, কমিশনের সঙ্গে অনেক চিঠি চালাচালি হলেও কমিশনের সদিচ্ছার অভাব ছিল। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেও রিপোর্ট পাঠাচ্ছে বিএসএফ। একইসঙ্গে তাঁর মত, ভোটের হানাহানি রুখতে রাজনৈতিক দলগুলির আরও দায়িত্বশীল হওয়া দরকার।

টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে ডিআইজি ইস্টার্ন কমান্ড এসএস গুলেরিয়া বলেন, কিছু কিছু বুথে এমন হিংসা দেখা গিয়েছে যা না হওয়াই কাম্য ছিল। একইসঙ্গে তিনি বলেন, যে স্পর্শকাতর বুথের হিসাব রাজ্য নির্বাচন কমিশন দিয়েছে, তার থেকে এই সংখ্যা আরও বেশি হলেই ভাল হত। এসএস গুলেরিয়া বলেন, “বাহিনী মোতায়েনের দায়িত্ব ফোর্স কোঅর্ডিনেটের ছিল। রাজ্য পুলিশ ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের থেকে স্পর্শকাতর এলাকার তথ্য় নিয়ে তারপরই মোতায়েন করা হয় বাহিনী। তিনি তেমনটাই করেছেন। তবে আমার মনে হয় সংবেদনশীল পোলিং বুথ আরও বেশি হওয়ার কথা ছিল। ৪ হাজার ৮৩৪ বুথের কথা আমাদের রেকর্ডে আছে। আমাদের কাছে ফোর্স অনেক বেশি ছিল। তাই ৪ হাজারের বদলে সংবেদনশীল বুথের সংখ্যা ১০-১২ হাজার হলে, আরও ভাল হত। তাহলে সেখানে সেন্ট্রাল আর্ম পুলিশ ফোর্সেস মোতায়েন করা যেত। নির্বাচন কমিশন থেকে যে তথ্য় আমাদের জানার কথা ছিল, তা জানানো হয়নি।”

ডিআইজি ইস্টার্ন কমান্ডের কথায়, যেখানে বাহিনী ছিল, সেখানে কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। দু’ এক জায়গায় ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করা হলেও বাহিনী তা নিয়ন্ত্রণেই রাখে। তবে বারবারই তিনি বলেছেন, কমিশনের সঙ্গে সমন্বয়ের একটা অভাব ছিল। এসএস গুলেরিয়ার বক্তব্য, “নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। কারণ, ওদের কাজ আলাদা, আমাদের ভূমিকা আলাদা। তবে আমাদের মধ্যে একটা সমন্বয় থাকা দরকার ছিল। এরজন্য একাধিক বৈঠকও হয়। আমাদের জন্য সবথেকে বড় সমস্যা ছিল, স্পর্শকাতর বুথের যে সংখ্যা আগাম তা আমাদের জানানো হয়নি। বারবার চিঠিচাপাটিতেও কাজ হয়নি। তার জন্য অসুবিধা হয়েছে। আগে থেকে সেটা পেলে খুব ভালভাবে কাজ হতে পারত। এ সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরি করে আমরা বিএসএফ হেডকোয়ার্টারের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠাব। কোর্ট চাইলে সেখানেও রিপোর্ট দেব।”

রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা বলেন, “জেলা স্তরে যাঁরা কাজ করেন, সন্ত্রাস আটকানোর দায়িত্ব তাঁদের। আমার দায়িত্ব ব্যবস্থা করা। আমরা সবরকম ব্যবস্থা করেছি। তবে তারপরও তো কেউ গ্যারান্টি দিতে পারবে না, কে কাকে গুলি করে দেবে, কাকে মেরে দেবে। কিন্তু ব্যবস্থা আমরা সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছি যাতে ভোটাররা ভোট দিতে পারেন।” যদিও এ নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ পাল্টা দাবি করেন, “যা বাহিনী চাওয়া হয়েছিল, পাঠায়নি। ওনাদের রিজার্ভ ফোর্স নেই । সীমান্ত থেকে তুলে আনতে হচ্ছে । বিএসএফ অযথা যুক্তি দিচ্ছে।”