C V Ananda Bose: ‘টাটকা বাতাস’ নিতে দিল্লি রওনা রাজ্যপালের, শাহি-সাক্ষাতের জোরাল সম্ভাবনা

Governor: ভোটের আগে থেকেই অত্যন্ত সক্রিয় দেখা গিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। উত্তরবঙ্গের কোচবিহার থেকে দক্ষিণবঙ্গের ভাঙড় কিংবা ক্যানিং, হিংসার অভিযোগ পেতেই ছুটে গিয়েছেন। কথা বলেছেন অভিযোগকারীদের সঙ্গে।

C V Ananda Bose: 'টাটকা বাতাস' নিতে দিল্লি রওনা রাজ্যপালের, শাহি-সাক্ষাতের জোরাল সম্ভাবনা
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 09, 2023 | 9:38 PM

কলকাতা: ভোটের পরদিনই আচমকাই দিল্লি-যাত্রা রাজ্যপালের। সূত্রের খবর, জরুরি ভিত্তিতে দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের দিন সকাল থেকে ‘গ্রাউন্ড জিরো’য় থেকেছেন রাজ্যপাল। দিনভর নজর রেখেছেন রাজ্যের বিভিন্ন কোণায়। ভোটের দিন যে হিংসার ছবি তিনি দেখেছেন, তারই রিপোর্ট নিয়ে কি তাহলে দিল্লি সফর রাজ্যপালের, উঠছে সে প্রশ্নও। এমনও সূত্র মারফত শোনা যাচ্ছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি। সন্ধ্যা ৬টা ১৫-র বিমানে দিল্লি রওনা দেন তিনি। তবে যাওয়ার আগে দিল্লি-সফর প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ফ্রেশ এয়ার’ নিতে দিল্লি যাচ্ছেন।

ভোটের আগে থেকেই অত্যন্ত সক্রিয় দেখা গিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। উত্তরবঙ্গের কোচবিহার থেকে দক্ষিণবঙ্গের ভাঙড় কিংবা ক্যানিং, হিংসার অভিযোগ পেতেই ছুটে গিয়েছেন। কথা বলেছেন অভিযোগকারীদের সঙ্গে। একইসঙ্গে ভোটের আগে রাজভবনে ‘পিস রুম’ খুলে হাজার হাজার অভিযোগ শুনেছেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে। বারবার যোগাযোগ করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও।

ভোটের দিনই রাজ্যপাল বার্তা দিয়েছিলেন, যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁরা গরীব। ঘটনার সময় কোনও নেতা কিন্তু সেখানে নেই। দারিদ্র্য না ঘুচিয়ে, দরিদ্রদের মারার চেষ্টা বাংলা চায় না বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এ ধরনের সার্বিক অশান্তি সমাজের জন্য খুবই ক্ষতিকর। হিংসার আমরা-ওরা হয় না, তিনি অরাজনৈতিক ভূমিকা পালন করবেন, এমন কথাও শোনা যায় বাংলার সাংবিধানিক প্রধানের মুখে। বলেছিলেন, লক্ষ্মণরেখা পার করবেন না, তবে হিংসার সঙ্গে আপসও করবেন না।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন, “উনি দিল্লি গেলেও বাংলার সব মানুষের পক্ষে তো মুক্ত বাতাস নেওয়ার জন্য দিল্লি যাওয়া সম্ভব না। তাই ওনাকে আবেদন করব, দিল্লি থেকে যেন কিছুটা মুক্ত বাতাস বাংলার মানুষের জন্য নিয়ে আসেন।” তৃণমূলের জয়প্রকাশ মজুমদারের অবশ্য খোঁচা, “টাটকা বাতাস ভাল লাগলে দিল্লিতেই থেকে যান। কারণ যে পার্টি আপনাকে পাঠিয়েছে, তার সদর দফতর দিল্লি।”