Goutam Pal at CBI Office: প্রায় ৫ ঘণ্টার CBI জিজ্ঞাসাবাদ সামলে নিজাম ছাড়লেন গৌতম পাল
CBI: হাইকোর্টের নির্দেশের পর গৌতম পাল পর্ষদের অফিসে আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে পর্ষদ সূত্রে দাবি করা হচ্ছে। আজ বিকেল পর্ষদের অফিসেই ছিলেন গৌতমবাবু। বিকেল ৫টা ১০ মিনিট নাগাদ পর্ষদের অফিস থেকে বেরোন তিনি।
কলকাতা: প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে বর্তমান সভাপতি গৌতম পালকেও (Goutam Pal) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআইকে (CBI) নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আজই সন্ধে ৬টার মধ্যে গৌতমবাবুকে নিজাম প্যালেসে গিয়ে সিবিআই-এর মুখোমুখি হতে বলেছিলেন তিনি। হাইকোর্টের নির্দেশের পর গৌতম পাল পর্ষদের অফিসে আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে পর্ষদ সূত্রে দাবি করা হচ্ছে। আজ বিকেল পর্ষদের অফিসেই ছিলেন গৌতমবাবু।
এরপর থেকে ঘটনা পরম্পরা – (সর্বশেষ আপডেট প্রথমে)
- রাত ১০টা ৫১ মিনিট: সিবিআই অফিস ছাড়লেন গৌতম পাল। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে নিজাম প্যালেস থেকে বেরলেন পর্ষদ সভাপতি। সিবিআই অফিস থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানালেন, “কলকাতা হাইকোর্ট আমাকে সিবিআই অফিসে আসতে বলেছিল, আমি এসেছি। যা জানতে চাওয়া হয়েছিল সেগুলো জানিয়েছি।”
- সন্ধে ৫ টা ৫৫ মিনিট: সন্ধে ৬টার মধ্যে তাঁকে নিজাম প্যালেসে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। নির্ধারিত সময়ের আগেই সিবিআই অফিসে পৌঁছে যান পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। নিজাম প্যালেসে ঢুকলেন তিনি। সিবিআই অফিসে ঢোকার সময়েও তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে তিনি সহযোগিতা করবেন কি না, বা তাঁর আমলে কোনওকিছু গৌতম পালের নজরে এসেছে কি না… কিন্তু কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দেননি তিনি।
- বিকেল ৫টা ১০ মিনিট: নাগাদ পর্ষদের অফিস থেকে বেরোন তিনি। নিজামে তিনি আজ যাবেন কি না, সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও কোনও উত্তর মেলেনি পর্ষদ সভাপতির থেকে। গাড়িতে উঠে সোজা বেরিয়ে যান তিনি। সিবিআই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য এদিন পর্ষদের অফিস থেকে বেরনোর সময় করেননি তিনি।
- আদালতের নির্দেশের পর বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, “বাংলার মানুষ চায় দ্রুততার সঙ্গে এই দুর্নীতির তদন্তের নিষ্পত্তি হোক। আদালতের এই তৎপরতা আমাদের কাছে অত্যন্ত খুশির খবর, আশার খবর। সঠিক বিচার হোক। মেধাযুক্তরা চাকরি পাক।”
- সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী আবার বলছেন, “তদন্ত হোক, কিন্তু ফয়সলা তো হতে হবে। বিচার তো হতে হবে। যাঁদের চাকরি বিক্রি হয়ে গেল, তাঁদের তো চাকরি দিতে হবে। তাঁরা কিন্তু রাস্তায় বসে আছেন।”