SSC Recruitment Case: নির্ধারিত সময়ের পর সুবীরেশকে নিয়ে আদালতে সিবিআই, বিচারকের প্রশ্নের মুখে
SSC Scam: সূত্রের খবর, শুনানি চলাকালীন বিচারক বলেন, নিজাম প্যালেস থেকে হেঁটে যাতায়াত করলেও এর থেকে আগে পৌঁছে যাওয়া যায়।
কলকাতা: সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে নিয়ে আদালতে পৌঁছতে দেরী হল সিবিআইয়ের। নির্ধারিত সময়ের পরে পৌঁছয় সিবিআই। যানজটের যুক্তিতে অসন্তুষ্ট হন বিচারক। সোমবার নির্ধারিত সময়ের পর সুবীরেশকে নিয়ে আলিপুর সিবিআই আদালতে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা। তাতে অসন্তুষ্ট হন বিচারক। কেন দেরি হল জানতে চান তিনি। সিবিআই প্রথমে বলে, রাস্তায় যানজট ছিল। তখন বিচারক বলেন, নিজাম প্যালেস থেকে হেঁটে যাতায়াত করলেও এর থেকে আগে পৌঁছে যাওয়া যায়। হেঁটে দু’বার যাতায়াত করা যায় বলেন তিনি। তারপর সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, ব্যবস্থাপনার জন্য দেরি হয়েছে। মামলা সংক্রান্ত নথিপত্র-সহ অন্যান্য জিনিস গুছিয়ে নিয়ে একটু সময় লাগে তাদের। কার্যত বিচারকের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়। পরবর্তীতে সওয়াল জবাব পর্বেও একের পর এক বিচারকের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সিবিআইকে। সওয়াল জবাব শেষে সুবীরেশকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮-র মাঝামাঝি পর্যন্ত তিনি স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। বাঁশদ্রোণীর বাড়িতে দফায় দফায় তল্লাশির পর ১৯ তারিখ গ্রেফতার হন সুবীরেশ। এর আগে এই মামলায় গ্রেফতার হন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, প্রাক্তন এসএসসি উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব অশোক সাহা।
এদিন সওয়াল জবাব পর্বের শুরুতেই সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, এই ঘটনা ‘লার্জার কন্সপিরেসি’। সুবীরেশ ভট্টাচার্য তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলেও দাবি করেন সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। বিচারপতি জানতে চান, ‘এই মামলায় কতজন গ্রেফতার?’। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, চারজন। একজন পুলিশ হেফাজতে, বাকিরা জেল হেফাজতে। এদিন সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, ‘আমাদের হাতে যা আছে, তা নিয়ে ওনাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তদন্তকে ভুল দিশায় নিয়ে যেতে উনি অদ্ভুত জবাব দিচ্ছেন।’ এরপরই সিবিআই চারদিনের হেফাজতের আবেদন জানায়।
সিবিআই এদিন আদালতে বলে, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় কে কে যুক্ত, কে নিয়োগ দিলেন তা তারা জানতে চায়। আরও অনেককে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আছে। অন্যদিকে বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘৬ দিন পুলিশ হেফাজতে পেয়েছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে। কী করলেন এই ক’দিন?’ সিবিআইয়ের আইনজীবী জবাব দেন, সমস্ত রিপোর্ট তারা কেস ডায়েরিতে দিয়েছে।
এদিন আইও আদালতে বলেন, ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছে। সেই সংক্রান্ত কিছু নথি এদিন বিচারকের সামনে তুলেও ধরেন। বিচারক বলেন, কীভাবে কারচুপির বিষয়টি তদন্তকারীরা বুঝলেন? আইও জানান, সার্ভার পরীক্ষা করে তাঁরা দেখেছেন, বেশ কিছু বদল আছে। ওএমআর শিট ‘ম্যানুপুলেট’ করা হয়েছে বলেও দাবি করেন আইও। এরসঙ্গে সুবীরেশের যোগসূত্রের কথাও বলা হয় সিবিআইয়ের তরফে।