Year Ender 2022: ফিরে দেখা: বাইশের টেটে পর্ষদের গলার কাঁটা হতে পারে বায়োমেট্রিক-অপশনে বিভ্রান্তি
Biometric in TET: তবে সম্ভাবনা যাই থাকুক না কেন, ওয়াকিবহাল মহলের সিংহভাগই মনে করছে, এই টেট নিয়ে কোনও দুর্নীতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
২০১৭ সালে টেট (TET) হয়েছিল। তারপর পাঁচ বছর কোনও পরীক্ষা হয়নি। ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর ফের প্রাথমিকের টেট হল। আন্দোলন, বিক্ষোভ, আইনি জটিলতা, মামলা মোকদ্দমার আবহে এই টেট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। একইসঙ্গে পর্ষদ ও রাজ্য সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জও বটে। পর্ষদ জানিয়েছে, পরীক্ষা ভালই হয়েছে। দু’ এক জায়গায় বায়োমেট্রিক নিয়ে সমস্যা, প্রশ্নপত্রের একটি সিরিজে অপশনে ভুল ছাড়া সে অর্থে বড় কোনও বিভ্রান্তির অভিযোগ এই টেট ঘিরে এখনও অবধি ওঠেনি। পর্ষদ সূত্রে খবর, এই টেটের ফল প্রকাশ হতে ২০২৩ সালের জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি হয়ে যেতে পারে। এই ফলপ্রকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন ৬ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী। তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন স্তরের মানুষ, তাকিয়ে শাসক-বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলও।
এই প্রথমবার টেটে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর জন্য বায়োমেট্রিকের ব্যবস্থা ছিল। মূলত, একজনের পরীক্ষা যাতে অন্যজন দিতে না পারেন তার জন্যই এই ব্যবস্থা। বায়োমেট্রিক টেস্টের পরই পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতর ঢুকতে পেরেছেন। তবে কলকাতা-সহ বেশ কিছু জেলা থেকে অভিযোগ এসেছে, বায়োমেট্রিক কাজ করেনি। ফলপ্রকাশের পর এই বায়োমেট্রিক সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে অভিযোগ উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। উঠে আসতে পারে প্রশ্নপত্রের একটি বিশেষ সিরিজে উত্তরের অপশনে ‘টেকনিক্যাল ভুল’ থাকার বিষয়টিও।
যে ভুলের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালও। তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন, “একটি সেটে ১০৪ নম্বর যে প্রশ্ন, তার কনটেন্টে কোনও ভুল নেই। ইংরেজিতে প্রশ্ন ও অপশন দুই-ই ঠিক আছে। বাংলাতেও প্রশ্ন ঠিকই আছে। তবে তার উত্তরের জন্য যে চারটি অপশন মার্ক অর্থাৎ এ, বি, সি, ডি থাকে, তাতে এ, সি, এ, সি হয়েছে। আমরা এই প্রশ্নের ব্যাপারে, যেসব পরীক্ষার্থী 04D সিরিজ পেয়েছেন, তাঁরা যাতে বঞ্চিত না হন সে ব্যাপারে অবহিত। পর্ষদ সে ব্যাপারে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবে।” একইসঙ্গে ফলপ্রকাশের পর ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগের ক্ষেত্রেও প্রশ্ন তুলতে পারেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে ধর্মতলায়।
তবে সম্ভাবনা যাই থাকুক না কেন, ওয়াকিবহাল মহলের সিংহভাগই মনে করছে, এই টেট নিয়ে কোনও দুর্নীতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আরও একটি বিষয়। আগের টেটে ওএমআর শিট নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তবে এবার সে সম্ভাবনাও কম বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, ওএমআর শিটের প্রতিলিপি রয়েছে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছে। সর্বোপরি, যেহেতু এই টেট পর্ষদ তথা রাজ্যের কাছে চ্যালেঞ্জ তাই নিয়োগের ক্ষেত্রেও কঠোরভাবে গুরুত্ব পাবে স্বচ্ছতা, এমনটাই মত বিভিন্ন মহলের।