চাকরিপ্রার্থীদের দাবিতে সহমত, তবে পাঁজি দেখে দিনক্ষণ বলতে ‘অপারগ’ কুণাল
Kunal Ghosh: এদিনের বৈঠকে ছিলেন কুণাল নিজেও। তিনি যে চাকরিপ্রার্থীদের দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করছেন তা সাংবাদিক বৈঠকে রাখঢাক না রেখেই বললেন। তবে আইনি জটের জন্যই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হতে এত দেরি বলে ফের একবার বলতে দেখা গেল তাঁকে।
কলকাতা: জট খোলার ডেডলাইন ১ ফেব্রুয়ারি। বিকাশভবনে দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তারপর থেকেই তা নিয়ে চলছে জোর চর্চা। যদিও জট কাটার নির্দিষ্ট তারিখ নিয়ে সন্দিহান কুণাল-ব্রাত্যরা। এখনই কোনও নির্দিষ্ট তারিখ বলতে নারাজ তাঁরা। যদিও বিকাশভবনে বৈঠক শেষে এক চাকরিপ্রার্থী আবার স্পষ্ট বললেন, “আমাদের নিয়োগের প্রক্রিয়া খুবই দ্রুততার সঙ্গে শুরু হয়েছে। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত নিয়োগপত্র নিয়ে বাড়ি যাব।” আর এক চাকরিপ্রার্থী তো অকপটে বলেই দিলেন ১ ফেব্রুয়ারি ডেডলাইনের কথা। যদিও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কথায়, “নির্দিষ্ট কোনও দিনক্ষণ আমি এখনই বলতে চাইছি না, বলতে পারছি না। তবে নিয়োগ নিয়ে আমি আশাবাদী।” খানিক একই সুর তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের গলাতেও।
এদিনের বৈঠকে ছিলেন কুণাল নিজেও। তিনি যে চাকরিপ্রার্থীদের দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করছেন তা সাংবাদিক বৈঠকে রাখঢাক না রেখেই বললেন। তবে আইনি জটের জন্যই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হতে এত দেরি বলে ফের একবার বলতে দেখা গেল তাঁকে। বললেন, “গভীর আইনি জট রয়েছে। তাতে এই নিয়োগপ্রক্রিয়া আটকে গিয়েছিল। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসুর সদিচ্ছায় এই জটটা খোলার একটা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কোর্ট-বিচারব্যবস্থাকে সম্মান জানিয়ে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ করে এই সমস্যা সমাধান করার প্রক্রিয়া চলছে। কিছু কিছু বিষয়ে দুই পক্ষই ঐক্যমতে পৌঁছেছে।”
কিন্তু, তাহলে ১ ফেব্রুয়ারির ডেডলাইনের মধ্যে কি জট কাটানো সম্ভব নাকি আরও দেরি হবে নিয়োগপত্র হাতে পেতে? জল্পনা-বিতর্কের মধ্যে কুণালের মত, “অমুক দিন ওই সময় জট খোলা যাবে এটা তো বলা যায় না। আসলে এত জটিল বিষয় যে দিনক্ষণ পাঁজি ধরে কিছু বলা সহজ নয়। আমরা চাই জটটা খুলে যাক। বিষয়টা এগোচ্ছে, ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে। আন্দোলনকারীরা বলেছেন যাতে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে জট কাটানোর কথা। তাঁদের শুভানুধ্যায়ী হয়ে আমিও তাতে পূর্ণ সহমত পোষণ করেছি। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীও যত দ্রুত সম্ভব এই বিষয়ে আইনি জট কাটানোর জন্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন।”