Firhad Hakim: কলকাতার জলশয় ভরাট নিয়ে বিস্ফোরক ফিরহাদ, দিলেন বড় তদন্তের নির্দেশ
Firhad Hakim: প্রসঙ্গত, ১৫ নম্বর বরোর অধীনে পরে কলকাতা পুরসভার খিদিরপুর গার্ডেনরিচ এবং মেটিয়াবুরুজের গোটা এলাকা। সেই এলাকার কতগুলো জলাশয় ভরাট হয়েছে, কতগুলি জলাশয় আস্ত রয়েছে, কোন জলাশয় ভরাট করে বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে সেগুলি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ফিরহাদ।
কলকাতা: জলাশয় ভরাট নিয়ে বিস্ফোরক কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। নিজের বিধানসভা এলাকা খিদিরপুর এবং গার্ডেনরিচ এলাকায় অবাধে চলছে জলাশয় ভরাট। নজরদারির অভাবে গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে। গোটা কলকাতার একাংশ এখন সম্পূর্ণ গ্যাস চেম্বার। খোদ মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রীর গলাতেই এই স্বীকারোক্তি। সমাধান কোথায়? উঠছে প্রশ্ন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বড় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার মেয়র।
প্রসঙ্গত, ১৫ নম্বর বরোর অধীনে পরে কলকাতা পুরসভার খিদিরপুর গার্ডেনরিচ এবং মেটিয়াবুরুজের গোটা এলাকা। সেই এলাকার কতগুলো জলাশয় ভরাট হয়েছে, কতগুলি জলাশয় আস্ত রয়েছে, কোন জলাশয় ভরাট করে বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে সেগুলি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিলেন তিনি। একইসঙ্গে কলকাতা পুরসভার ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪ অর্থাৎ গোটা দক্ষিণ শহরতলি, পূর্ব কলকাতা, ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের দু’ধারে যে অবাধে ভরাট চলছে, সেই বিষয়টি কার্যতা স্বীকার করে নিয়ে সংশ্লিষ্ট বরোগুলিতেও তদন্তের নির্দেশ দিলেন তিনি।
এতদিন বিরোধীরা কলকাতার এই দক্ষিণ শহরতলির অংশে যে জলাশয় ভরাট নিয়ে অভিযোগ করে এসেছেন, তা এবার খোদ মেয়রের গলাতে শোনা গেল। তা নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে নাগরিক মহলে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে নিজের বক্তব্যের পরোক্ষে নাগরিক অসচেতনতা এবং এলাকায় শাসকদলের কর্মীদের একাংশের কারণেই যে ভরাট হচ্ছে তা বুঝিয়ে দেন ফিরহাদ। যে কারণে মেয়রের গলাতে শোনা যায়, তাঁর দলের এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এই ভরাট সংক্রান্ত অসভ্যতামি করার অভিযোগ এসেছে। সে বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার গোটা বিষয়টির জল কতদূর গড়ায়।