Subhaprasanna on protest : ‘ধর্ষণ হয় না এমন কোনও রাষ্ট্র আছে’, ‘নীরবতা’ নিয়ে সাফাই শুভাপ্রসন্নের

Subhaprasanna on protest : হিংসার ঘটনা নিয়ে শুভাপ্রসন্ন বলেন, "একটা যদি মৃতদেহ পড়ে, অনেক শকুন চলে আসে। এটা তো রাজনীতি। যে দলের যত টাকা, সেই দলের তত রুদালি।"

Subhaprasanna on protest : 'ধর্ষণ হয় না এমন কোনও রাষ্ট্র আছে', 'নীরবতা' নিয়ে সাফাই শুভাপ্রসন্নের
টিভি নাইন বাংলাকে একান্ত সাক্ষাৎকার শুভাপ্রসন্নর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 15, 2022 | 6:20 PM

কলকাতা : সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় পথে নেমেছিলেন। সরব হয়েছিলেন তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে। এমনকী, ‘পরিবর্তন চাই’ স্লোগানও তাঁরা কয়েকজন মিলে লিখেছিলেন বলে নিজেই জানাচ্ছেন। অথচ বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সরব হতে দেখা যায়নি তাঁকে। বীরভূমের বগটুইয়ে ১০ জনকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ঘিরে রাজ্য সরগরম হলেও পথে নামেননি। শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হওয়াতেই কি এই নীরবতা? টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সব প্রশ্নের জবাব দিলেন শিল্পী শুভাপ্রসন্ন (Subhaprasanna)।

২০০৭ সালে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলন ঘিরে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়েছিল। পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ১৪ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়। রাজ্যের তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন বিদ্বজ্জনরা।

কাট টু ২০২২। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে তৃণমূল রাজ্যে তৃতীয়বার সরকার গঠন করেছে বছর খানেক আগে। ভোট পরবর্তী হিংসায় বিরোধী কর্মী সমর্থকরা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। আর গত কয়েক মাসে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আবার বগটুইকাণ্ডের নৃশংসতায় শিউরে উঠেছে সাধারণ মানুষ।

প্রশ্ন উঠছে, এরকম পরিস্থিতিতে কেন পথে নামছেন না বিদ্বজ্জনরা? শুভাপ্রসন্ন বলছেন, “সেরকম সময় এখনও আসেনি। যেদিন আমরা বুঝব এই সরকার ঘাতক সরকার। এই সরকার মানুষের উন্নয়নে কাজ করছে না। সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। সেদিন পথে নামব। এখন তো অত্যন্ত সুন্দর ভাবে চলছে।”

রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, “পৃথিবীতে এমন কোনও কি রাষ্ট্র আছে যেখানে ধর্ষণ নেই, হিংসা নেই ? অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, পিতা সন্তানকে ধর্ষণ করছে। এগুলো নিয়ে কি আলোচনা করা উচিত? আমরা যদি সামাজিক সংশোধন তেমনভাবে আনতে পারি, যখন মনুষ্যত্ব অন্য স্তরে পৌঁছে যাবে, তখন এগুলো ভাবা যাবে। না হলে ধরনের ঘটনা চলবেই।” তিনি অবশ্য স্পষ্ট করে দেন, এই ধরনের ঘটনাকে কোনওমতেই সমর্থন করেন না।

হিংসার ঘটনা নিয়ে শুভাপ্রসন্ন বলেন, “একটা যদি মৃতদেহ পড়ে, অনেক শকুন চলে আসে। এটা তো রাজনীতি। যে দলের যত টাকা, সেই দলের তত রুদালি। যারা গিয়ে কান্নাকাটি করে। আমরা সেই রুদালির ভূমিকায় নেই।”

২০০৭ সালে তাঁরা যখন রাস্তায় নেমেছিলেন সেই প্রতিবাদকে তিনি কী বলবেন? শিল্পীর সাফাই, “অহেতুক কারও স্তাবকতা, কিংবা নিজেকে প্রতিবাদী হিসেবে দেখানো, সেটা আমাদের প্রয়োজন হয়নি।” নন্দীগ্রাম আন্দোলনে জড়িত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “মানুষ খুন হচ্ছে, তখন কোনও সংবেদনশীল মানুষের চুপচাপ থাকা কি উচিত? তাঁকে যদি রাজনীতি বলেন, তাহলে সেটা রাজনীতি।”

প্রশ্ন উঠছে, তখন মানুষ খুন হওয়ায় যদি চুপ থাকতে না পারেন, তাহলে এখন কেন রাস্তায় নামছেন না? শিল্পী তাঁর জবাবও দিয়েছেন, রাজ্য এখন অত্যন্ত সুন্দর ভাবে চলছে। এখনও পর্যন্ত রাস্তায় নামার মতো খারাপ কিছু হয়নি।