Child Sell Case: বাড়িভাড়া নিয়ে করেছিলেন সন্তান প্রসবের অভিনয়! সন্তানবিক্রি কাণ্ডে গ্রেফতার আরও ২
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বকুলতলা বোম্বাই বাগান রোডের একটি বাড়িতে ভাড়া এসছিলেন কল্যাণী গুহ। এই বাড়িতে তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে ভাড়া ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, দিন কয়েক আগেও ওই বাচ্চাটিকে নিয়ে তিনি ওই বাড়িতে এসেছিলেন।
বেহালা: চার লক্ষ টাকার বিনিময়ে ২১ দিনের দুধের শিশুকে এক নিঃসন্তান মহিলার কাছে বিক্রি অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যার মধ্যে রয়েছেন যিনি সন্তান বিক্রি করেছেন, যিনি কিনেছেন। বাকি ৪ জন মধ্যস্থতাকারীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। কল্যাণী গুহ নামের যে মহিলার বিরুদ্ধে সন্তান কেনার অভিযোগ উঠেছে তিনি বেহালায় একটি বাড়ি কিছু দিনের জন্য ভাড়া নিয়েছিলেন। সেই বাড়িতে বুধবার যায় পুলিশের তদন্তকারী দল। পাশাপাশি বেহালা এলাকার একটি আইভিএফ সেন্টারেও যায় পুলিশ। এর পাশাপাশি এই কাণ্ডে আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ. তাঁদের নাম গোলাম আমবিয়া ও মমতা পাত্র। রুপালি মণ্ডলের সঙ্গে মমতা পাত্র যোগাযোগ করে কীভাবে বাচ্চা বিক্রি করা যায় তার পরিকল্পনা করেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। অপরদিকে গোলাম আমবিয়া লাল্টির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বকুলতলা বোম্বাই বাগান রোডের একটি বাড়িতে ভাড়া এসছিলেন কল্যাণী গুহ। এই বাড়িতে তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে ভাড়া ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, দিন কয়েক আগেও ওই বাচ্চাটিকে নিয়ে তিনি ওই বাড়িতে এসেছিলেন। ওই মহিলা বাড়িওয়ালার কাছে জানিয়েছিলেন, তিনিই ওই বাচ্চা প্রসব করেছেন। বাড়িওয়ালা জানিয়েছেন, বাচ্চা প্রসব ও তৎ সংক্রান্ত শারীরিক জটিলতার কথা শুনে তিনিও ভেবেছিলেন বাচ্চাটি কল্যাণীরই। এর পিছনে যে একটা চক্র রয়েছে, তা টের পাননি বাড়িওয়ালা এবং এলাকার মানুষজন। এই ঘটনা জানার পর বাড়িওয়ালা ও এলাকার মানুষরাও হতবাক। বাড়িওয়ালা জানিয়েছেন, বেহালার বকুলতলার ওই আইভিএফ সেন্টার এর মাধ্যমে এই বাড়ি ভাড়ার যোগাযোগ হয়েছিল।
বুধবার পুলিশও ঘটনাস্থলে আসে। গোটা এলাকার ছবি তোলে। পাশাপাশি এলাকা পরিদর্শন করে। পুলিশ সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ওই বাচ্চার জন্মদাত্রী মা রূপালী মণ্ডল। এবং গোটা ঘটনার পুরোটাই পরিকল্পনা মাফিক করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই চক্রের সঙ্গে ওই এলাকার আর কেউ যুক্ত রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।