Bardhaman Road Accident: যাত্রীবোঝাই টোটোতে ডাম্পারের ধাক্কা, মৃত একই পরিবারের চার সদস্য-সহ ৫ জন
Purbo Bardhaman Road Accident: ভোর পাঁচটা নাগাদ একটি টোটোতে একই পরিবারের চার জন মাছ ধরার ধরতে যাচ্ছিলেন। প্রত্যেকের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের পালিতপুর গ্রামে। টোটোচালক মইনউদ্দিনের বাড়ি সিজেপাড়া এলাকায়।
বর্ধমান: সকালে মাছ ধরতে যাচ্ছিলেন। টোটোতেই ছিলেন প্রত্যেকে। কিন্তু পথে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ডাম্পার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে টোটোতে। পথেই মৃত্যু হয় একই পরিবারের চার জনের। মৃত্যু হয়েছে টোটো চালকেরও। সোমবার ভোরে মর্মান্তিক ঘটনা বর্ধমান-বোলপুর জাতীয় সড়কের ঝিঙ্গুটিতে। মৃতদের নাম গঙ্গা সাঁতরা (৬৫), সরস্বতী সাঁতরা(৫৯),সীমা সাঁতরা (৪০),মামনী সাঁতরা(৩২) এবং টোটোচালক মইনউদ্দিন মিদ্যা(৩৬)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোর পাঁচটা নাগাদ একটি টোটোতে একই পরিবারের চার জন মাছ ধরার ধরতে যাচ্ছিলেন। প্রত্যেকের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের পালিতপুর গ্রামে। টোটোচালক মইনউদ্দিনের বাড়ি সিজেপাড়া এলাকায়।
তখনও ভোরের আলো সেভাবে ফোটেনি। জানা গিয়েছে, গ্রাম থেকে টোটোটি বর্ধমান সিউড়ি রোডে উঠতেই গুসকরার দিক থেকে একটি পাথর বোঝাই ডাম্পার সজোরে ধাক্কা মারে টোটোটিকে। দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় টোটোচালক-সহ পাঁচ জনের। পুলিশ মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পুলিশ মর্গে । বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ঘাতক ডাম্পারটিকে। তবে ডাম্পারের চালক ও খালাসি পলাতক।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ওই এলাকায় এমনিতেই দুর্ঘটনাপ্রবণ। রাস্তা খারাপ থাকায় দুর্ঘটনা ঘটে এলাকায়। আগেও একাধিকবার এলাকায় পুলিশ মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা। মনে করা হচ্ছে, ডাম্পারটির গতি স্বাভাবিকের থেকে বেশি ছিল। উল্টো দিক থেকে টোটো চলে এলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। তারপরই দুর্ঘটনাটি ঘটে। অভিঘাতে দুমড়ে- মুছড়ে যায় টোটোটি। পাঁচটা শরীর দলা পাকিয়ে যায় রীতিমতো। ঘটনার ভয়াবহতায় স্তম্ভিত গ্রামবাসীরা।
মৃতদের এক আত্মীয় বলেন, “ডাম্পারে পাথর ছিল। এখন তো বাচ্চা বাচ্চা ছেলেরাও ডাম্পার চালাচ্ছে। হয়তো ভোরের দিকে চোখ লেগে এসেছিল, তাতেই দুর্ঘটনা। প্রতিদিনই ওরা মাছ ধরতে যায়। এই টোটোতেই যেত ওরা।” গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।