টিআরপি কিনতে বার্ক প্রধানকে প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা দিতেন অর্ণব, বিস্ফোরক তথ্য

পুলিস জানায়, টাকার বদলে টিআরপি বাড়ানোর খেলায় 'মাস্টারমাইন্ড' ছিলেন পার্থ দাশগুপ্তই। তাঁকে জেরা করেই আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানা সম্ভব বলে আদালতে জানায় পুলিস আধিকারিকরা।

টিআরপি কিনতে বার্ক প্রধানকে প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা দিতেন অর্ণব, বিস্ফোরক তথ্য
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 29, 2020 | 4:15 PM

মুম্বই: ধীরে ধীরে আরও পর্দাফাঁস হচ্ছে রিপাবলিক টিভির ভুয়ো টিআরপি মামলার (Republic TV TRP case)। সোমবার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জমা দেওয়া মুম্বই পুলিসের তথ্য অনুযায়ী, চ্যানেলের টিআরপি বাড়াতে বার্ক (BARC)-র প্রাক্তন সিইও (CEO) পার্থ দাশগুপ্ত সহ প্রধান আধিকারিকদের নিয়মিত লক্ষাধিক টাকা দিতেন রিপাবলিক টিভির এডিটর অর্ণব গোস্বামী (Arnab Goswami)।

গত সপ্তাহেই বার্ক-র প্রাক্তন সিইও পার্থ দাশগুপ্ত (Partho Dasgupta)-কে টিআরপি মামলায় গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিস। আদালতে হেজাফতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করে পুলিস জানায়, টাকার বদলে টিআরপি বাড়ানোর খেলায় ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলেন পার্থ দাশগুপ্তই। তাঁকে জেরা করেই আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানা সম্ভব বলে আদালতে জানায় পুলিস আধিকারিকরা।

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্ণব গোস্বামী নিয়মিত টাকা দিতেন পার্থ দাশগুপ্ত ও বার্কের প্রাক্তন সিওও (COO) রোমিল রামগারিহা (Romil Ramgarhia)-কে। টাকার বদলে রোমিল অন্যান্য চ্যানেলের গোপন তথ্য ফাঁস করে দিত এবং এর সাহায্যেই রিপাবলিক টিভির ইংরেজি ও হিন্দি চ্যানেলের টিআরপি (TRP)-তে কারচুপি করা সম্ভব হত। পার্থ দাশগুপ্ত ক্ষমতায় থাকাকালীন টাকার বদলে টিআরপি কিনত রিপাবলিক টিভি।

আরও পড়ুন: পঞ্জাবে ভাঙচুর ১৫০০ জিয়ো টাওয়ার, সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

মুম্বই পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চের জমা দেওয়া হেফাজত আবেদনে বলা হয়েছে, “ক্ষমতার অপব্যবহার করে পার্থ দাশগুপ্ত এআরজি আউটলাইয়ার মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের (ARG Outlier Media Pvt Ltd) চ্যানেল অর্থাৎ রিপাবলিক ভারত ও রিপাবলিক টিভির টিআরপিতে কারচুপি করতেন। বার্ক-র সিইও পদে থাকাকালীন অর্ণব গোস্বামী ও অন্যান্যদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিনি এই চক্রান্তে সামিল হন।”

এর আগে চলতি মাসেই এআরজি আউটলাইয়ার মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের সিইও বিকাশ খানচান্দানি (Vikas Khanchandani )-কে গ্রেফতার করা হয়, তবে পরে তিনি জামিন পেয়ে যান। গত মাসে রিপাবলিক টিভির ডিস্ট্রিবিউশন হেড ঘনশ্যাম সিং (Ghanshyam Singh)-কেও গ্রেফতার করা হয়। এই নিয়ে মোট ১৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ভুয়ো টিআরপি মামলায়।

যদিও রিপাবলিক টিভির তরফ থেকে এখনও এই অভিযোগ অস্বীকার করা হচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, সুশান্ত সিং রাজপুত (Susant Singh Rajput) মামলায় পুলিসের গাফিলতি ও তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন ওঠানোর কারণেই মুম্বই পুলিস (Mumbai Police) ষড়যন্ত্র করে ভুয়ো টিআরপির মামলা শুরু করেছে।

চলতি বছরের অক্টোবর মাসে হংস রিসার্চ (Hansh Research) নামক একটি সংস্থা, যারা দর্শকসংখ্যা বিচারের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার বসান, সেই সংস্থার আধিকারিক নীতিন দেওকর ভুয়ো টিআরপির অভিযোগ আনেন। তিনি জানান, টিআরপি বাড়ানোর জন্য রিপাবলিক চ্যানেলের তরফ থেকে যে বাড়িগুলিতে মিটার বসানো রয়েছে, তাঁদের প্রতিমাসে ৪০০-৫০০ টাকার বদলে চ্যানেল চালু রাখতে বলা হত। এভাবেই ঘুরপথে চ্যানেলের টিআরপি বাড়াত রিপাবলিক টিভি।

আরও পড়ুন: ‘নয়া’ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্রিটেন ফেরত ৬ ব্যক্তি