ত্বক ও চুলের সব সমস্যা মিটবে আমলকী তেলে, গুণের বহর দেখলে চমকে যাবেন!

শুধু শীতকালে নয়, নিয়মিত ডায়েটচার্টে আমলা রাখলে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকও ভাল থাকে। সুপার ফুড আমলা ত্বক ও চুলের পরিচর্চার জন্য প্রাকৃতিক ভেষজ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

ত্বক ও চুলের সব সমস্যা মিটবে আমলকী তেলে, গুণের বহর দেখলে চমকে যাবেন!
চুল ও ত্বকের যত্নে আমলকী
Follow Us:
| Updated on: May 31, 2021 | 8:01 PM

করোনাকালে অধিকাংশই যখন স্বাস্থ্যকর জুস হিসেবে প্রতিনিয়ত খেয়ে চলেছেন, কিন্তু তাঁরা জানেন না এই আমলা বা আমলকি রূপচর্চার জন্য কতটা জনপ্রিয়। ত্বকের যৌবন ধরে রাখতে, চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে, চুলেতে খুসকি দূর করতে আমলার গুণের বিকল্প নেই।

মুখের ব্রণের দাগ ও কালো ছোপ দূর করতে

প্রাকৃতিক উপায়ে মুখের মধ্যে কালো ছোপ ও ব্রণ নির্মূল কতে আমলা খুবই উপকারী। এমন সমস্যার সম্মুখীন হলে আমলার জুস মুখের মধ্যে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন । শুকিয়ে গেলে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মুখে ধুয়ে ফেলুন। যদি আপনার ত্বক স্পর্শকাতর হয়, তাহলে আমলার জুসে অল্প জল মিশিয়ে তা পাতলা করে নিতে পারেন। নিমিত করতে থাকলে সুফল পাবেন কয়েক সপ্তাহ পর।

শুষ্ক ত্বকে প্রাণ ফেরাতে

শুষ্ক ত্বকের সরাসরি আমলা ব্যবহার না করাই ভাল। আমলার জুস ত্বকের স্ক্রাার হিসেবে খুব ভাল কাজে দেয়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি। আমলার সাহায্যে ত্বকের উজ্জবলতা বজায় থাকে, ত্বক টান-টান থাকে। হালকা গরম জলে এক চামচ আমলা পাউডার গুলে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি গোটা মুখের মধ্যে স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করুন। ৫ মিনিট রাখুন। যদি ইচ্ছে হয়, তাহলে আমলার মিশ্রণের সঙ্গে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে দিতে পারেন।

আরও পড়ুন: শ্যাম্পু করার সময় গরম জল ব্যবহার করেন! চুলের কী মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে, জানেন?

চুল পড়ার সমস্যা

শুধু ত্কেই নয়, চুলের জন্য উপকারী আমলার জুস। চুল ঝড়ে যাওয়া ও অকালে চুল নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হলে আমলা ব্যবহার করতে পারেন। অল্প গরম জলের মধ্যে কিছু শুকনো আমলা দিন। আমলাগুলো জলে ভিজে গেলে ব্লেন্ড করে একটি থকথকে পেস্ট বানান এবার চুলের গোড়ায় ও ত্বকের মধ্যে এই উপকারী মিশ্রণটি ব্যবহার করুন। একসপ্তাহে একবার করলেই মিলবে সুফল। চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে থাকবে। চুলের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে আমলার জুস ব্য়বহার করুন। আধঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। এচাড়া রোজকার নিয়মে আমলকির হেয়ার ওয়েল লাগাতে পারেন। স্নান করার আগে প্রতিদিন আমলকির হেয়ার ওয়েল ব্য়বহার করলে পাতলা ও শুষ্ক চুল থেকে মুক্তি মিলবে। এছাড়া আমলার তেল চুলে কন্ডিশনারিংয়ের কাজ করে, উজ্জ্বলতা বাড়ায় প্রাকৃতিক গুণে।

আমলার তেল বানাবেন কীভাবে

তেল তৈরির জন্য তাজা আমলকি, এক কাপ নারকেল তেল নিন। প্রথমে আমলকিগুলি ধুয়ে ও কেটে তা থেকে বীজগুলে বের করে নিন। এরপর একটি মিক্সারের মধ্যে আমলকিদিয়ে সেগুলির পেস্ট বানিয়ে নিন । প্রসঙ্গত, আমলকীর পেস্ট থেকে জল বের করে নেবেন না। এবার একটি বোলে এক কাপ নারকেল তেল নিয়ে তা গরম করে নিন। তেল গরম হলে তাতে আমলকীর পেস্টটি দিয়ে দিন। ১০-১৫ মিনি তেল আর আমলকী গরম করুন। ঠান্ডা হলে নামিয়ে একটি পরিস্কার কাঁচের কনটেনারে রেখে দিন। অনেকদিন ধরে ব্য়বহার করতে পারবেন। এই আমলকীর তেল চুলের গোড়ায় ও স্ক্যাল্পে ২০মিনিট ধরে মাসাজ করুন এরপর চুলে ধুয়ে ভাল শ্যাম্পু ব্য়বহার করুন।