Coconut Milk: চুল এবং ত্বকের পরিচর্যায় কীভাবে কাজে লাগে নারকেলের দুধ?

অসংখ্য উপকারি ভিটামিন এবং মিনারেলস থাকার ফলে চুল এবং ত্বকের পরিচর্যায় নানা ভাবে কাজে লাগে নারকেলের দুধ।

Coconut Milk: চুল এবং ত্বকের পরিচর্যায় কীভাবে কাজে লাগে নারকেলের দুধ?
নারকেলের দুধ দিয়ে যত্ন করুন চুল এবং ত্বকের।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 08, 2021 | 3:31 PM

কোকোনাট মিল্ক বা নারকেলের দুধে রয়েছে হাজার গুণ। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, ই, বি১, বি৩, বি৫ এবং বি৬। এছাড়াও রয়েছে আয়রন, সেলেনিয়াম, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান। অসংখ্য উপকারি ভিটামিন এবং মিনারেলস থাকার ফলে চুল এবং ত্বকের পরিচর্যায় নানা ভাবে কাজে লাগে নারকেলের দুধ। চলুন দেখে নেওয়া যাক রূপচর্চায় কীভাবে নারকেলের দুধ কাজে লাগে।

চুলের পরিচর্যায় নারকেলের দুধ

১। রুক্ষ, শুষ্ক চুলের জেল্লা ফেরাতে কাজে লাগে নারকেলের দুধ। অর্থাৎ ভাল ময়শ্চারাইজার বা এক্ষেত্রে কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। মাথার তালু বা স্ক্যাল্পের বিভিন্ন চুলকানি, র‍্যাশ, অ্যালার্জি, অস্বস্তি দূর করতেও নারকেলের দুধের জুড়ি মেলা ভার। তাই রুক্ষ, শুষ্ক চুল যাঁদের রয়েছে, তাঁরা অনায়াসেই কন্ডিশনার হিসেবে নারকেলের দুধ ব্যবহার করতে পারেন।

২। ড্যামেজ হেয়ার অর্থাৎ চুলের ডগা ফেটে যাওয়া, চুল মাঝখান থেকে ভেঙে ঝরে যাওয়া এসব রুখতেও সাহায্য করে নারকেলের দুধ। এর পাশাপাশি চুল পড়ার সমস্যা কমায় এবং নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে কোকোনাট মিল্ক। তাছাড়া চুল লম্বায় বৃদ্ধি পেতেও কাজে লাগে নারকেলের দুধ।

ত্বকের পরিচর্যায় নারকেলের দুধ

১। মেকআপ রিমুভার বা ক্লেনজার হিসেবে ব্যবহার করা যায় নারকেলের দুধ। এর ফলে ত্বক আর্দ্র থাকে। শুধু যে মেকআপই তোলা সম্ভব, তা কিন্তু নয়। বরং স্কিন ময়শ্চারাইজার হিসেবেও খুব ভাল কাজ দেয় নারকেলের দুধ।

২। ব্রনর সমস্যা কমায় নারকেলের দুধ। বিশেষ করে যাঁদের অয়েলি স্কিন, তাঁদের ক্ষেত্রে ত্বকের যত্ন নেওয়ার অন্যতম উপকরণ কোকোনাট মিল্ক। এর সাহায্যে ত্বকে জমে থাকা অতিরিক্ত তেলও বেরিয়ে যায়। পাশাপাশি ত্বক থাকে আর্দ্র এবং নরম। সেই সঙ্গে ত্বকের জেল্লাও ফিরে আসে।

৩। বাড়িতে ফেসয়াল বা স্ক্রাব করার জন্য প্যাক তৈরি করলে, তার মধ্যে অবশ্যই রাখুন নারকেলের দুধ। ওটসের সঙ্গে নারকেলের দুধ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে কিংবা অলিভ অয়েলের সঙ্গে কোকোনাট মিল্ক মিশিয়ে মুখে ম্যাসাজ বা স্ক্রাব করলে মরা কোষ ঝরে যায়। অর্থাৎ এক্সফোলিয়েশন হয়। এর ফলে ত্বকের জৌলুস ফিরে আসে। স্কিন এক্সফোলিয়েটর হিসেবে নারকেলের দুধ খুবই উপকারি উপকরণ। এর সঙ্গে ফেসিয়াল কিংবা ফেসওয়াশ এবং টোনার হিসেবেও ব্যবহার করা যায় নারকেলের দুধ। বডি স্ক্রাবিংয়ের ক্ষেত্রেও স্ক্রাবার হিসেবে কোকোনাট মিল্ক এবং ওটসের প্যাক ব্যবহার করা যায়।
৪। ত্বকের অ্যান্টি-এজিং বা অসময়ে বলিরেখার সমস্যাও দূর করে নারকেলের দুধ। সেই সঙ্গে স্কিন ট্যান তুলতে এবং ত্বক আর্দ্র, নরম-মোলায়েম রাখতেও কাজে লাগে নারকেলের দুধ।