Coconut Milk: চুল এবং ত্বকের পরিচর্যায় কীভাবে কাজে লাগে নারকেলের দুধ?
অসংখ্য উপকারি ভিটামিন এবং মিনারেলস থাকার ফলে চুল এবং ত্বকের পরিচর্যায় নানা ভাবে কাজে লাগে নারকেলের দুধ।
কোকোনাট মিল্ক বা নারকেলের দুধে রয়েছে হাজার গুণ। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, ই, বি১, বি৩, বি৫ এবং বি৬। এছাড়াও রয়েছে আয়রন, সেলেনিয়াম, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান। অসংখ্য উপকারি ভিটামিন এবং মিনারেলস থাকার ফলে চুল এবং ত্বকের পরিচর্যায় নানা ভাবে কাজে লাগে নারকেলের দুধ। চলুন দেখে নেওয়া যাক রূপচর্চায় কীভাবে নারকেলের দুধ কাজে লাগে।
চুলের পরিচর্যায় নারকেলের দুধ
১। রুক্ষ, শুষ্ক চুলের জেল্লা ফেরাতে কাজে লাগে নারকেলের দুধ। অর্থাৎ ভাল ময়শ্চারাইজার বা এক্ষেত্রে কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। মাথার তালু বা স্ক্যাল্পের বিভিন্ন চুলকানি, র্যাশ, অ্যালার্জি, অস্বস্তি দূর করতেও নারকেলের দুধের জুড়ি মেলা ভার। তাই রুক্ষ, শুষ্ক চুল যাঁদের রয়েছে, তাঁরা অনায়াসেই কন্ডিশনার হিসেবে নারকেলের দুধ ব্যবহার করতে পারেন।
২। ড্যামেজ হেয়ার অর্থাৎ চুলের ডগা ফেটে যাওয়া, চুল মাঝখান থেকে ভেঙে ঝরে যাওয়া এসব রুখতেও সাহায্য করে নারকেলের দুধ। এর পাশাপাশি চুল পড়ার সমস্যা কমায় এবং নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে কোকোনাট মিল্ক। তাছাড়া চুল লম্বায় বৃদ্ধি পেতেও কাজে লাগে নারকেলের দুধ।
ত্বকের পরিচর্যায় নারকেলের দুধ
১। মেকআপ রিমুভার বা ক্লেনজার হিসেবে ব্যবহার করা যায় নারকেলের দুধ। এর ফলে ত্বক আর্দ্র থাকে। শুধু যে মেকআপই তোলা সম্ভব, তা কিন্তু নয়। বরং স্কিন ময়শ্চারাইজার হিসেবেও খুব ভাল কাজ দেয় নারকেলের দুধ।
২। ব্রনর সমস্যা কমায় নারকেলের দুধ। বিশেষ করে যাঁদের অয়েলি স্কিন, তাঁদের ক্ষেত্রে ত্বকের যত্ন নেওয়ার অন্যতম উপকরণ কোকোনাট মিল্ক। এর সাহায্যে ত্বকে জমে থাকা অতিরিক্ত তেলও বেরিয়ে যায়। পাশাপাশি ত্বক থাকে আর্দ্র এবং নরম। সেই সঙ্গে ত্বকের জেল্লাও ফিরে আসে।