Monsoon Skin Care: বর্ষাকালে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখতে রোজই খান এই পাঁচটি ‘ডিটক্স ড্রিঙ্ক’

সারা বর্ষাকাল জুড়েই ত্বকের পরিচর্যা প্রয়োজন। বিশেষ করে যাঁদের সেনসিটিভ স্কিন, তাঁদের ক্ষেত্রে ত্বকের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এ জন্য বডি ডিটক্স হওয়া অর্থাৎ শরীর থেকে সমস্ত দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।

Monsoon Skin Care: বর্ষাকালে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখতে রোজই খান এই পাঁচটি 'ডিটক্স ড্রিঙ্ক'
শুধু বাইরে থেকে ত্বকে বিভিন্ন জিনিস লাগালেই হবে না। ভিতর থেকেও শরীর মজবুত এবং সুস্থ রাখতে হবে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2021 | 6:56 AM

বর্ষায় ত্বক এবং চুলের একাধিক সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। বিশেষ করে এই সময় ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। কারও ক্ষেত্রে স্কিন অত্যধিক ডাল হয়ে যায়। এর অর্থ হল ত্বকের ঔজ্জ্বল্য কমে যায়। জেল্লা কমে ত্বক জৌলুসহীন হয়ে পড়ে। অনেকের ক্ষেত্রে আবার ব্রনর সমস্যাও দেখা দেয়। এছাড়া বর্ষাকালে তুলনায় রোদের তেজ কম থাকায় অনেকেই হয়তো অবহেলা করে সানস্ক্রিন লাগান না। এর ফলে ট্যানের সমস্যা অবধারিত ভাবেই ত্বকের সঙ্গী হয়ে যায়। এর পাশাপাশি ত্বকে বিভিন্ন ধরনের র‍্যাশ-আলার্জি দেখা দিতে পারে এই বর্ষাকালেই। অতএব সারা বর্ষাকাল জুড়েই ত্বকের পরিচর্যা প্রয়োজন।

বিশেষ করে যাঁদের সেনসিটিভ স্কিন, তাঁদের ক্ষেত্রে ত্বকের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। আর এর জন্য, শুধু বাইরে থেকে ত্বকে বিভিন্ন জিনিস লাগালেই হবে না। ভিতর থেকেও শরীর মজবুত এবং সুস্থ রাখতে হবে। এ জন্য বডি ডিটক্স হওয়া অর্থাৎ শরীর থেকে সমস্ত দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। এই বডি ডিটক্সিফিকেশন বা বডি ডিটক্সের জন্য পাঁচটি ‘ডিটক্স ড্রিঙ্ক’ বা বিশেষ পানীয় খেতে পারেন আপনি। এর ফলে ত্বকের জেল্লা ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে। শুধু তাই নয়, ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন- ব্রন, পিগমেন্টেশন, কালচে দাগ-ছোপ, ডার্ক সার্কেল, মেচেতা, বলিরেখা ইত্যাদি দূর হয়ে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়বে।

কোন কোন ডিটক্স পানীয় আপনি রোজ খেতে পারবেন দেখে নিন-

গ্রিন টি- এই গ্রিন টি- তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। গ্রিন টি খেলে শরীরের সমস্ত দূষিত পদার্থ বাইরে বেরিয়ে যায়। অর্থাৎ বডি ডিটক্সিফিকেশন হয়।

লেবু জল- লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এই ভিটামিন সি ত্বকের জেল্লা বাড়াতে দারুণ ভাবে কাজে লাগে। এছাড়াও লেবু জল শরীর এবং ত্বক দুটোই হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। ত্বক আর্দ্র থাকায় শুষ্ক রুক্ষ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা এড়ানো যায়।

হলুদ দুধ- গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে, শুধু ত্বক নয় আপনার সারা শরীরই সুস্থ থাকবে। এমনিতেই হলুদ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপকরণ হিসেবে পরিচিত। ফলে এই হলুদ দুধ খেলে বিভিন্ন রকমের অ্যালার্জি থেকে দূরে থাকা সম্ভব।

নারকেলের জল বা ডাবের জল- বডি ডিটক্সিফিকেশনের পাশাপাশি এই পানীয় ত্বক আর্দ্র রাখতেও সাহায্য করে। শরীরেও জলের ঘাটতি হতে দেয় না। এছাড়াও নারকেল বা ডাবের জল ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। ভাল ক্লেনজার হিসেবেও ব্যবহৃত হয় নারকেল বা ডাবের জল।

তুলসী টি- তুলসী পাতায় থাকে অ্যান্টি-এজিং উপকরণ। তাই তুলসী মেশানো চা খেলে আপনার ত্বকের বলিরেখা রুখতে সাহায্য করবে।

আরও পড়ুন- Stretch Marks: ইন্সটাগ্রামে নিজের স্ট্রেচ মার্ক নিয়ে চিঠি লিখলেন সামিরা রেড্ডি