Hair Care Tips: মাত্র ১টি হেয়ার মাস্কেই হবে কেল্লাফতে! ১৫ মিনিটের মধ্যে নিস্তেজ চুলে বাড়বে জেল্লা ও ভলিউম
Hair Mask at Home: মাত্র একটি উপাদানের বেশি প্রয়োজন নেই একেবারেই। সেই উপাদানগুলি রান্নাঘরেই মজুত থাকে। নিস্তেজ ও ফ্রিজি চুলের জন্য যে যে হেয়ার মাস্ক লাগবে, তা দেখে নিন এখানে...
আমরা সকলেই ত্বকের ব্যাপারে বড্ড বেশি যত্নশীল। কিন্তু চুলের বিষয়ে এলেই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর পিছনে যথেষ্ট কারণ আছে। বেশিরভাগেরই অভিযোগ, চুলের যত্নের (Hair Care) জন্য বেশি সময় পাওয়া যায় না। প্রয়োগ করার জন্য উপকরণগুলি (Hair Care Ingredient) একসঙ্গে মিশিয়ে তারপর কয়েক মিনিট অপেক্ষা করার পর চুল ধুতে গিয়েই যত সময় চলে যায়। এই পুরো পদ্ধতিটির জন্য অনেকে খুব শর্টকাটে কাজ সারার উপায় খোঁজেন। তাই রাসায়নিকযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুলের ক্ষতি করে চলেছেন। কিন্তু বর্তমানে একটি মাত্র উপাদানের মধ্যে দিয়েই চুলের যত্ন নেওয়া সম্ভব। বিশ্বাস না হওয়ারই কথা। মাত্র একটি উপাদানের বেশি প্রয়োজন নেই একেবারেই। সেই উপাদানগুলি রান্নাঘরেই মজুত থাকে। নিস্তেজ ও ফ্রিজি চুলের জন্য যে যে হেয়ার মাস্ক লাগবে, তা দেখে নিন এখানে…
মেয়োনিজ: ফ্রিজের মধ্যে মেয়োনিজের ডিব্বা যে এখন সকলের বাড়িতেই থাকে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। স্যান্ডউইচের মেয়োনিজের স্বাদ অবশ্যই দরকার। তবে শুধু স্যান্ডউইচ বা স্যালাদের জন্য নয় নিস্তেজ ও শুষ্ক চুলের জন্যও দারুণ কার্যকরী। ময়েশ্চারাইজিং ফ্রিজ-টেমার হিসেবে মেয়োনিজ ব্যবহার করা যথেষ্ট উপকারী। বিশেষত আপনার যদি কোঁকড়া বা ঢেউ খেলানো চুল থাকে., তাহলে চুলের যত্নের জন্য অবশ্যই মেয়োনিজ ব্যবহার করতে পারেন।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
চুল ভেজা থাকলে আগে শুকিয়ে নিন। মাথার ত্বক থেকে শুরু করে চুলের আগা পর্যন্ত মেয়োনিজ ব্যবহার করুন। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে চুল সমানভাবে ঢেকে রাখতে পারেন। তাতে ফল পাবেন ভাল।
ফ্রেশ ক্রিম: ফ্রিজের মধ্যে আরও একটি উপকরণ থাকে, যা রান্নায় স্বাদ বাড়াতে তাজা ক্রিম ব্যবহার করি। শুষ্ক চুলে ময়েশ্চারাইজিং করতে ক্রিমের অবদান রয়েছে অনেকটাই। রোদে কারণে ক্ষচিগ্রস্ত চুল ও রাসায়নিক দ্রব্য তাজা ক্রিম ব্যবহার করা অনেকটাই উপকারী হয়। হাইড্রেটেড করার পাশাপাশি চুলের আগা ভেঙে যাওয়া রোধও করে। বাজেটের মধ্যে প্রাকতিক উপায়ে ত্বকের ও চুলের যত্নের জন্য রুটিন মেনে ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
কীভাবে ব্যবহার করবেন:
কার্যকরী হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে আধ কাপ তাজা মালাই বা ক্রিম নিন। এরপর গোটা চুলে প্রয়োগ করুন। এক ঘণ্টার বেশি রেখে দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
ডিমের সাদা অংশ
শিশুদের জন্য তো বটেই প্রাপ্ত বয়স্কদের স্বাস্থ্যের জন্য ডিম খাওয়া জরুরি। তবে ত্বক ও চুলের যত্নে হেয়ার মাস্ক হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। চুলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে ডিমের সাদা অংশ মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তাতে মাথার ত্বক পরিস্কার করতে. চুলকে গোড়া থেকে মজবুত করতে ও চুলের বৃদ্ধি ও খুশকি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন
দুটি ডিমের সাদা অংশটি আলাদা করে ফেটিয়ে নিন ভালে করে। ফেনার মত হয়ে গেলে সেটি গোটা চুলে ও মাথার ত্বকের প্রয়োগ করুন। ২০ মিনিটের জন্য রেখে দেওয়ার পর চুল ধুয়ে ফেলুন।
কলা: দ্রুত চুলের বৃদ্ধির জন্য এক বা দুটি পাকা কলার গুণ অনেক। চুলকে নরম ও মসৃণ বাড়াতে তো বটেই. নিস্তেজ চুলের জেল্লা বৃদ্ধি করতে কলার ব্যবহার করতে পারেন। খুশকি ও শুষ্ক চুলের ক্ষেত্রে কলার হেয়ার মাস্ক দারুণ উপকারী।
কীভাবে ব্যবহার করবেন:
একটি বাটিতে চুলের দৈর্ঘ্য অনুসারে এক বা দুটি পাকা কলা একসঙ্গে স্ম্যাশ করুন। এবার সেই কলার মাস্ক চুলে লাগিয়ে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে ফেলুন। তারপর তোয়ালে দিয়ে চুল শুকিয়ে নিন।