Winter Clothes: লেপ-কম্বল শীতবস্ত্র ফের বাক্সবন্দি হওয়ার পালা, কী ভাবে ধুয়ে আলমারিতে রাখবেন?
Wash And Care Tips: শীতের জামাকাপড়ে একটা ট্যাগ লাগানোই থাকে যে কী ভাবে তার যত্ন নিতে হবে, কাচতে হবে। শীতের জামা কখনই ব্লিচ, আয়রন বা ড্রাই ক্লিন করা যাবে না
শহর থেকে বিদায় নিয়েছে শীত। মার্চের প্রথমেই যে ভাবে গরম হুংঙ্কার দিচ্ছে তাতে একটু চিন্তাতেই সাধারণ মানুষ। প্রতি বছর গরম বাড়ছে। আমাদের দেশে শীতের স্থায়িত্ব বড়ই কম। মেরেকেটে ২ মাস। নভেম্বরের মাঝামাঝি আলমারি থেকে সোয়েটার, লেপ-কম্বল সব নেমেছিল। এবার এইসব যত্ন করে গুছিয়ে রাখার পালা। যেহেতু শীতের জামা খুব কম ব্যবহার করা হয় তাই এই জামা যত্ন করে রাখতে হয়। বছর বছর তো আর লেপ-কম্বল কেনা হয় না। এছাড়াও সোয়েটার, জ্যাকেটও যত্ন করে রাখতে হয়। নইলে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার সোয়েটার ঠিক নিয়ম মেনে কাটতে হয়। নইলে রোঁয়া উঠে জামা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। জ্যাকেট, সোয়েটার, মাফলারের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে অনেক নস্ট্যালজিয়া। আর তাই যত্ন করে তাকে আলমারিতে মুড়ে তো রাখতেই হবে।
শীতের জামাকাপড়ে একটা ট্যাগ লাগানোই থাকে যে কী ভাবে তার যত্ন নিতে হবে, কাচতে হবে। শীতের জামা কখনই ব্লিচ, আয়রন বা ড্রাই ক্লিন করা যাবে না। অনেকেই ভাবেন শীতের জামা কয়েকদিন পরেই তো তুলে রেখে দেওয়া হয়। বিশেষত কম্বল। নিয়ম হল, মাসে একবার সমস্ত শীতের পোশাক, চাদর, কম্বল সব কেচে নেওয়া উচিত। কম্বল মাসে অন্তত একবার কেচে তবেই ভাল করে শুকিয়ে নেওয়া উচিত। আর শীতের জামা কেচে কখনই মুড়ে রাখা ঠিক নয়। এতে জ্যাকেট, সোয়েটার নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়াও মেশিনের পরিবর্তে শীতের জামা হাতে কেটে নেওয়া হলেই সবচাইতে ভাল। গরম নয়, ঠান্ডা জলে লিক্যুইড সোপ দিয়ে সোয়েটার ভিজিয়ে রাখুন। এবার জল দিয়ে খুব ভাল করে তা ধুয়ে নিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। সোয়েটারে কোনও দাগ পড়লে আগেই তা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ নইলে এই সব দাগ জামায়, সোয়েটারে বসে যায়।
তবে ডিটারজেন্ট সব সময় মেপে দিতে হবে। খুব বেশি দিলেও যেমন কাজ হবে না তেমনই কম দিলেও চলবে না। লিক্যুইড ডিটারজেন্টে ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখলেই চলবে। জল দিয়ে খুব ভাল করে সোয়েটার ধুয়ে নেবেন। কখনই কচলাবেন না। এতে সোয়েটার নষ্ট হয়ে যায়। এই সব টিপস মাথায় রাখলেই সোয়েটার ভাল থাকবে।