Samantha Prabhu: এক সময়ে চে-স্যাম প্রেম কাহিনি বুনেছিলেন সামান্থা নিজের বাগদানের শাড়িতে!
তাঁদের বিচ্ছেদে মন ভেঙে গিয়েছে বহু অনুরাগীর। তবে নিজেদের পথে এগিয়ে গেলেও চে-স্যাম লাভ স্টোরি এখনও অনুরাগীদের মধ্যে আলোচিত হয়। যে প্রেম কাহিনি এক সময় সামান্থা নিজের বাগদানের শাড়িতে বুনেছিলেন।
তাঁরা এক সময় নাকি ছিলেন ড্রিম কাপল। দিন কয়েক আগেই বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছেন। তাঁরা অর্থাৎ নাগা চৈতন্য এবং সামান্থা প্রভু। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের জীবনের এই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের বিচ্ছেদে মন ভেঙে গিয়েছে বহু অনুরাগীর। তবে নিজেদের পথে এগিয়ে গেলেও চে-স্যাম লাভ স্টোরি এখনও অনুরাগীদের মধ্যে আলোচিত হয়। যে প্রেম কাহিনি এক সময় সামান্থা নিজের বাগদানের শাড়িতে বুনেছিলেন।
২০১০-এ একসঙ্গে ‘ইয়ে মায়া চেসভ’-এ কাজ করতে গিয়ে নাকি একে অপরের প্রেমে পড়েন সামান্থা এবং নাগা। ২০১৭-র জানুয়ারিতে তাঁদের এনগেজমেন্ট হয়। সেই সময় সামান্থা নিজের বাগদানের শাড়িতে চে-এর সঙ্গে তাঁর ভালবাসার গল্প লিখে ছিলেন। সেই সময় শাড়ি বেশ ভাইরাল হয়েছিল। সামান্থা নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছিলেন শাড়ির ছোট ছোট বিষয়। বিচ্ছেদের পরও তাঁর ইনস্টাগ্রামে রয়ে গেছে সেই সব স্মৃতি।
View this post on Instagram
‘সামান্থা চে’ এটাই লেখা ছিল তাঁর বাগদানের শাড়িতে। তার সঙ্গে ছিল নাগার প্রপোজালের মুহূর্ত। ছিল পরিবারের সঙ্গে কাটানো তাঁর প্রিয় মুহূর্তের ছবি। এই ভাবেই একের পর এক মুহূর্ত দিয়ে স্বপ্নের শাড়ি বুনেছিলেন সামান্থা। আইভরি গোল্ডেন রঙের শাড়িটি ডিজাইন করেছিলেন কৃশা বাজাজ। সেই শাড়ি তৈরির ভিডিয়োও শেয়ার করেছিলেন অভিনেত্রী। তাঁর সঙ্গে তিনি লিখেছিলেন যে, “আমার গল্পের পাতা থেকে… ভালবাসার সঙ্গে তোমার কাছে”
View this post on Instagram
গত শনিবার বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণায় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন সামান্থা। তিনি লেখেন, ‘আমাদের সকল শুভান্যুধায়ীরা, অনেক চিন্তাভাবনার পর চে এবং আমি স্বামী-স্ত্রী হিসেবে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেদের পথে এগিয়ে যাব ভেবেছি। আমরা ভাগ্যবান এক দশকের বেশি সময় আমাদের বন্ধুত্ব ছিল, সেটা আমাদের সম্পর্কের অত্যন্ত ব্যক্তিগত জায়গা। আমরা বিশ্বাস করি সেই স্পেশ্যাল বন্ডিং আমাদের মধ্যে থেকে যাবে। এই কঠিন সময়ে আমাদের অনুরাগী, শুভান্যুধায়ী এবং সংবাদমাধ্যমের কাছে আমাদের প্রাইভেসিকে সম্মান জানানোর অনুরেধ করব। আমরা সত্যিই এগিয়ে যেতে চাই। আপনাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।’ এই একই পোস্ট করেছেন নাগাও।
বিচ্ছেদের পর ভরণপোষনের জন্য সামান্থাকে ২০০ কোটি টাকা দিতে চেয়েছিলেন নাগা এবং তাঁর পরিবার। কিন্তু সামান্থা নাকি কোনও টাকা নিতে রাজি হননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র দাবি করেন, এই বিয়ে ভাঙা সামান্থার কাছে হৃদয় বিদারক। অভিনেত্রী অত্যন্ত বিচলিত। এই সম্পর্ক থেকে শুধুমাত্র ভালবাসা এবং সাহচর্য চেয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া আর কিছুর প্রয়োজন ছিল না তাঁর।
নাগা চৈতন্য অভিনেতা নাগার্জুন আকিনেনির পুত্র। বৈবাহিক সূত্রে এক সময় আকিনেনি পদবী ব্যবহার করতেন সামান্থা। কিন্তু কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রোফাইলে সেই পদবী বাদ দিয়েছেন তিনি। তারপর থেকে নাগা চৈতন্যর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের জল্পনা আরও দৃঢ় হয় বিভিন্ন মহলে। সেই জল্পনার অবসান ঘটালেন অভিনেত্রী স্বয়ং। তবে তাঁর এই বাগদানের শাড়ি এবং চেস্যামের প্রেম কাহিনি মনে রাখবে তাঁর অনুরাগীরা।
আরও পড়ুন: অসাধারণ লাল বেনারসির সাজে উত্সবের মেজাজকে রঙিন করলেন এই দক্ষিণী অভিনেত্রী!