AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Leaf for Fever: প্রয়োজন নেই অ্যান্টিবায়োটিকের, এই পাতা চিবিয়ে খেলেই সারবে জ্বর-সর্দি

Fever and Cold Home Remedies: জ্বর হলে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। বিশ্রাম নিতে হবে। হালকা সহজপাচ্য খাবারের পাশাপাশি ভরসা রাখুন এই কয়েকটি পাতাতেও

Leaf for Fever: প্রয়োজন নেই অ্যান্টিবায়োটিকের, এই পাতা চিবিয়ে খেলেই সারবে জ্বর-সর্দি
পাতা খেলেই সারবে জ্বর
| Edited By: | Updated on: Jan 24, 2023 | 9:57 AM
Share

কথায় বলে মাঘের শীত, বাঘের গায়। পৌষে পারদের উত্থান-পতনের পর মাঘের শুরুতে বেশ ভালই ব্যাটিং শুরু করেছে শীত। শহরতলিতে জাঁকিয়ে উপস্থিতি শীতের। কলকাতাতেও রয়েছে ঠান্ডার অনুভূতি। হাড় কাঁপানো ঠান্ডা না থাকলেও হাওয়া চালাচ্ছে, দুপুরের রোদে গরমও লাগছে। কখনও আকাশ মেঘলা থাকায় গুমোট পরিস্থিতিও তৈরি হচ্ছে। তাপমাত্রার এই হঠাৎ পরিবর্তনের ফলে সর্দি, কাশি, জ্বর সবকিছুই জাঁকিয়ে বসেছে। আর এই ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত ছোট থেকে বড় সকলেই। ভাইরাল জ্বর অধিকাংশ সময়েই বায়ুবাহিত কারণের জন্য হচ্ছে। হাঁচি, কাশি আর শ্বাসের মাধ্যমে একজনের থেকে অন্যজনের শরীরে ভাইরাস ছড়ায়। আর এই ভাইরাল জ্বরের প্রকোপে গলাব্যথা, সর্দি, কাশি, হালকা জ্বর থেকে শুরু করে একাধিক উপসর্গ থাকে। আর তাই জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গ প্রকট হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। ভাইরাল ফিভারের পাশাপাশি ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়াও হচ্ছে। তাই নিজে সচেতন থাকুন। ২ দিন পর যদি জ্বর না কমে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

জ্বর হলে অধিকাংশই প্রথমে অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে নেন। তবে সব সময় এই অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন পড়ে না।

এতে শরীরে নানা রকম প্রভাব পড়ে। আর তাই সবথেকে ভাল যদি ঘরোয়া টোটকায় ভরসা রাখা যায়। জ্বর হলে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। বিশ্রাম নিতে হবে। হালকা সহজপাচ্য খাবারের পাশাপাশি ভরসা রাখুন এই কয়েকটি পাতাতেও। যেমন-

ধনেপাতা- ধনেপাতার মধ্যে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, যা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ধনে পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক যৌগ যা ভাইরাল সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি আর জ্বরের সমস্যায় প্রথমেই সসপ্যানে একগ্লাস জল নিয়ে তার মধ্যে কিছু ধনেপাতা ফেলে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। এবার দিনের মধ্যে অন্তত কয়েকবার এই জল ছেঁকে নিয়ে খান। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়বে।

তুলসি পাতা- তুলসি পাতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিকের গুণ। থাকে ইউজেনল, সিট্রোনেলল, লিনালুলের মত একাধিক উপাদান। তুলসি পাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টিবায়োটিক আর অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যই সর্দি, কাশি রুখতে সাহায্য করে। রোজ চায়োর জলে তুলসি পাতা ফেলুন আর তফাত দেখুন নিজের চোখেই।

অরিগ্যানো- পাস্তা, পিৎজায় ব্যবহার করা হয় অরিগ্যানো। তবে অরিগ্যানো খুবই শক্তিশালী একটি ভেষজ। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য। যা সর্দি, কাশি রুখতে সাহায্য করে। কাঁচা হলুদ আর অরিগ্যানো পাতা একসঙ্গে সিদ্ধ করে খান। দিনের মধ্যে দুবার খেলে জ্বর, সর্দি-কাশি কমে।