What To Add in Tea: চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন এই জিনিসটি, ফুসফুস পরিষ্কার তো হবেই, বেরিয়ে আসবে টক্সিনও
Ginger For Health: অনেকের হজমের সমস্যা থাকে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই যদি গ্যাস, অম্বল হয় তাহলে গরম জলে আদা ফেলে ফুটিয়ে খান। মর্নিং সিকনেস রুখতেও কাজে আসে এই আদা জল

ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয় তো বটেই সেই সঙ্গে পৃথিবীর দ্বিতীয় জনপ্রিয় পানীয় হল চা। চা-পানের ক্ষেত্রে অনেকেই খুব শৌখিন। সুন্দর টি-পট, সুগন্ধী এবং খাঁটি দার্জিলিং চা ছাড়া অনেকেই খান না। চায়ের স্বাদ বোঝা এতটাও সোজা ব্যাপার নয়। প্রত্যেকেরই চা পান করার নির্দিষ্ট একটা পদ্ধতি রয়েছে। কেউ বাড়িতে বানিয়ে চা খেতে পছন্দ করেন আবার কারোর পছন্দ হল নির্দিষ্ট কোনও দোকানের চা। চা-এর মধ্যে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকে। সেই সঙ্গে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল একাধিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যে কারণে চা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। শীতের দিনে আদা দিয়ে চা খেলেও গরমের দিনে আবার অনেকে আদা দিয়ে চা এড়িয়ে যান। তবে এই আদা একেবারেই বন্ধ করবেন না। আদার মধ্যে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে।
আয়ুর্বেদে আদার একাধিক উপকারিতার কথা বলা হয়েছে। আদা আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়। আর তাই রোজ চায়ে একটু করে আদা মিশিয়ে খেলে অনেক রকম উপকার পাবেন। আদার মধ্যে জিঞ্জেরল নামের একটি উপাদান রয়েছে, এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ঔষধি গুণ থাকে। গলা, ফুসফুসের যে কোনও সংক্রমণ রুখতে ভূমিকা রয়েছে এই আদার। শরীর থেকে টক্সিন দূর করতেও কাজে আসে আদা।
অনেকের হজমের সমস্যা থাকে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই যদি গ্যাস, অম্বল হয় তাহলে গরম জলে আদা ফেলে ফুটিয়ে খান। মর্নিং সিকনেস রুখতেও কাজে আসে এই আদা জল। যাঁদের সকালে উঠলেই গা গোলায়, বমি পায় তাঁরা অবশ্যই নিয়ম করে খান আদার জল। এতে অনেক সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
জয়েন্টের যে কোনও ব্যাথাতেও কাজে আসে আদা। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জয়েন্টের মধ্যেকার তৈলাক্ততা কমে যায়, সেই সঙ্গে জয়েন্ট মুভমেন্ট করতেও অসুবিধে হয়। এর ফলে হাঁটু ভাঁজ করতেও অসুবিধে হয়। এই সমস্যাকে বলা হয় অস্টিওআর্থারাইটিস। গবেষণায় দেখা গিয়েছে আদা এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
পিরিয়ডের সময় অনেকেরই কোমরে ব্যতা, পেটে ব্যথা হয়। পায়েও ভীষণ ক্রাম্পের সমস্যা হয়। আর এই সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে আদা। আদা জল বা লিকার চায়ে আদা মিশিয়ে বারে বারে খান। উপকার পাবেনই। আদার মধ্যে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে যা মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সাহায্য করে। তাই আদা সীমীত পরিমাণে খান রোজ।





