ইমিউনিটি বাড়াতে খান বাড়িতে তৈরি পালং-কলার স্মুদি
এই মুহূর্তে করোনার জন্য ইমিউনিটি বৃদ্ধি পায়, এমন খাবার বা পানীয় খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। মরসুমি ফল খাওয়া প্রত্যেকের উচিত। তার সঙ্গে সবুজ সব্জি ডায়েটে রাখাটা মাস্ট।
স্মুদি (food)। দেখলেই হয়তো মনে হয়, দোকানে বসে কোনও শেফের যত্ন করে বানিয়ে দেওয়া পানীয় আপনি খাচ্ছেন। কিন্তু স্মুদি চাইলে ইচ্ছেমতো বাড়িতেও তৈরি করতে পারেন। কখনও জলখাবারে, কখনও বা সন্ধের সময় স্মুদি খেতে পারেন।
এই মুহূর্তে করোনার জন্য ইমিউনিটি বৃদ্ধি পায়, এমন খাবার বা পানীয় খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। মরসুমি ফল খাওয়া প্রত্যেকের উচিত। তার সঙ্গে সবুজ সব্জি ডায়েটে রাখাটা মাস্ট। তবেই ইমিউনিটি বাড়বে। কলা এমন একটি ফল, যা সারা বছর পাওয়া যায়। সঙ্গে নিন পালং শাক। শীতকালে প্রচুর পাওয়া যায়। এই দুই উপকরণের সাহায্যে তৈরি করে ফেলুন মনের মতো স্মুদি। বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ পালং শাক ক্যানসার পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। হাড়ের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য ক্যালসিয়ামকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি পৌষ্টিক উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। হাড়ের পুষ্টি, বৃদ্ধি, এবং হাড়কে শক্তিশালী করে রাখার জন্য ক্যালসিয়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পালং শাকে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম। হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা এড়ানোর জন্য পালং শাক খুবই উপকারী। নাইট্রোজেন সমৃদ্ধ এই শাক আপনার ইমিউনিটি বাড়াবে। সঙ্গে থাকছে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ফল, কলা। এই দুইয়ের মিশ্রণে চটজলদি তৈরি করে ফেলুন স্মুদি।
আরও পড়ুন, কম সময়ে কীভাবে বাড়িতে তৈরি করবেন চিকেন শামি কাবাব?
উপকরণ: কলা, পালং শাক, মাখন, দুধ। সোয়া মিল্ক বা আলমন্ড মিল্কও ব্যবহার করতে পারেন।
প্রণালী: পালং শাক ভাল করে ধুয়ে নিন। কলার খোসা ছাড়িয়ে ছোট করে টুকরো করে নিন। এরপর পালং শাক এবং কলার সঙ্গে বাকি উপকরণ অর্থাৎ দুধ এবং মাখন একসঙ্গে মিশিয়ে মিক্সিতে পেস্ট করে নিন। বেশি ঘন হয়ে গেলে তরল করার জন্য প্রয়োজন মতো জল মেশাতে পারেন। পরিবেশন করার আগে উপরে অল্প গোলমরিচ গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন।