Bengali Sweet: শ্রীরামকৃষ্ণ নাকি বোঁদে খেতে দারুণ ভালবাসতেন! এই জনপ্রিয় রসাল মিষ্টি বাড়িতে বানাবেন কীভাবে?
বোঁদে সাধারণত লালচে রঙের হয়। ঘিয়ে ভাজা বোঁদে জাফরান মেশানো চিনির রসে ডোবালে লালচে হয়। আবার ঘিয়ে না ভেজে তেলে ভাজলেও লালচে হয়।
বোঁদে বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় মিষ্টান্ন। বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে ও ত্রিপুরায় এই জনপ্রিয় মিষ্টিটি প্রায় সব মিষ্টির দোকানেই পাওয়া যায়। বেসন তেলে ভেজে সিরাপে ডুবিয়ে রসাল বোঁদে তৈরি করা হয়ে থাকে। বোঁদে সাধারণত লালচে রঙের হয়। ঘিয়ে ভাজা বোঁদে জাফরান মেশানো চিনির রসে ডোবালে লালচে হয়। আবার ঘিয়ে না ভেজে তেলে ভাজলেও লালচে হয়।
পশ্চিমবঙ্গে সাদা বোঁদে কিছু বিশেষ অঞ্চলেই প্রসিদ্ধ এবং উপলব্ধ। তার মধ্যে হুগলি জেলার জনাই ও কামারপুকুর-জয়রামবাটী অন্যতম। জনাইয়ের বড়ো বোঁদে পটলাকৃতি, কামারপুকুর-জয়রামবাটীর সাদা বোঁদে গোলাকৃতি। জয়রামবাটীর সাদা বোঁদের মূল উপাদান বরবটি দানার গুঁড়ো বা বরবটি বেসন, আতপ চাল ও গাওয়া ঘি। কথিত আছে যে রামকৃষ্ণ পরমহংস সাদা বোঁদে খেতে অত্যন্ত ভালবাসতেন। জয়রামবাটীর সাদা বোঁদে ভক্ত ও ভ্রমণার্থীদের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয়।
উপকরণ
১কাপ ব্যাসন ১কাপ ঘি ১/২চা চামচ খাবার সোডা ৫০০ গ্রাম চিনি ৪ টে এলাচ ১কাপ সাদা তেল পরিমান মতো জল
কীভাবে করবেন
প্রথমে ব্যাসন এ একটু ঘি আর খাবার সোডা দিয়ে জল দিয়ে গুলে ব্যাটার বানাতে হবে। এবার ১টা কড়াইয়ে চিনি ও তার ১/২ জল দিয়ে সিরা বানাতে হবে।অন্যদিকে কড়াইয়ে বাকি ঘি তার সঙ্গে একটু তেল গরম করে ছানতা র সাহায্যে বানিয়ে রাখা ব্যাটার তেলে ছাড়তে হবে। এবার সব ভাজা হয়ে গেলে উষ্ণ গরম সিরায় কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখলেই রেডি গরম গরম ঘি এ ভাজা বোঁদে।
আরও পড়ুন: Winter Special Recipe: বাতাসে শীতের আমেজ! এবার বাড়িতেই বানান জয়নগরের বিখ্যাত মোয়া